ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

মহেশখালীতে পৃথক সংঘর্ষে নিহত ২

qw112হারুনর রশিদ, মহেশখালী :

ককসবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে পৃথক সংঘর্ষে দু’জন নিহত হয়েছে। মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নে ডাকাতের গুলিতে এক যুবক নিহত হয়েছে। নিহত যুবকের নাম লোকমান সরওয়ার(৩৪), সে শাপলাপুর ইউপির জেমঘাটস্থ নয়াপাড়া এলাকার নুরুল আলম এর ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে ১০জুলাই রবিবার রাত সাড়ে ১১টার সময়।
স্থানীয় এলাকাবাসির সূত্রে জানা যায়, ওইদিন রাত সাড়ে ১১টার সময় লোকমান ও তার ব্যবসায়িক পার্টনার পটুয়াখালী জেলার বাসিন্দা সেলিম ও লোকমান মোটরসাইকেল যোগে বাড়ী ফিরছিলেন। ওই সময় বাড়ীতে আসার পথে জেমঘাট এলাকার গলাছিপা ব্রিজ পর্যন্ত আসলে ওখানে আগে থেকে উৎপেতে থাকা ডাকাত দল মোটরসাইলের দিকে টর্চলাইট দিয়ে গাড়ি থামাতে সিগন্যাল দেয়, লোকমান ড্রাইভিংয়ে থাকা অবস্থায় প্রতিপক্ষের উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে; জীবন বাঁচাতে বাইক দ্রুত চালাতে চেষ্টা করে। ওই সময় লোকমানকে লক্ষ্য করে ডাকাতদল গুলি ছোঁড়ে। গুলিতে লোকমান আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং বাইকের ফিছনে থাকা অপরজন সেলিম অক্ষত থাকে। খবর পেয়ে কালামারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই বোরহান উদ্দীন সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পৌছে আহত লোকমানকে চিকিৎসার জন্য চকরিয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক লোকমানকে মৃত ঘোষনা করে।
এস.আই বোরহান আরো জানান, এঘটনার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লোকমানের বাইকের ফিছনে থাকা পঠুয়াখালীর সেলিম কে কালামারছড়া পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয়।
এব্যাপারে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ বাবুল চন্দ্র বনিক জানান, নিহত লোকমান একজন বালু ব্যবসায়ি বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যায়। নিহতের লাশ সদর পাসপাতালের মর্গে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহ ভাজন একজনকে আটকপূর্বক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পৃথক অপর ঘটনাটি ঘটেছে ১১জুলাই ভোররাত ৪টার সময় উপজেলার কালামারছড়া ইউনিয়নের উত্তর নলবিলাস্থ পাহাড়ের গহীণ অরণ্যে। ডাকাতির মালামালের ভাগাভাগি নিয়ে পাহাড়ে দু’ডাকাত গ্রুপের মধ্য রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে কালামারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস.আই বোরহান উদ্দীন ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ; ওই সময় পুলিশের উপস্থিতিটের পেয়ে উভয় পক্ষ গাঢাকাদেয় এবং পাহাড়ের গভীর অরণ্যের দিকে চলে যায়। পুলিশ ঘটনা সংঘটি এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে মূমূর্ষ অবস্থায় আহত ফরিদ ডাকাত ৪০ কে উদ্ধার করে। এসময় তার কাছ থেকে একটি দেশীয় তৈরী লম্বাবন্ধুক ও ২রাউন্ড তাজা কাতুর্জ উদ্ধার করা হয়। ফরিদ ডাকাতকে মুমূর্ষ অবস্থায় মহেশখালী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে পুলিশ। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ফরিদ ডাকাতকে মৃত ঘোষনা করেন।
এব্যাপারে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ বাবুল চন্দ্র বনিক জানান,নিহত ফরিদ এলাকার একজন চিহ্নিত ডাকাত; তার বিরোদ্ধে মহেশখালী থানায় হত্যা,অস্ত্র,ডাকাতি,নারী-শিশু ও মারামারির ধারায় ১৫টি ওয়ারেন্ট ভোক্ত মামলার আসামি ফরিদ। গভীর রাতে পাহাড়ে ডাকাত গ্রুপের এর মধ্য সংঘর্ষের ঘটনায় ফরিদ ডাকাত গুলিবিদ্ধ হলে, পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়েগেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফরিদ ডাকাত কে মৃত ঘোষনা করে। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাটানো হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।

 

পাঠকের মতামত: