ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় ঈদের দিন দুর্ধর্ষ ডাকাতি ও চুরির ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক

dakati..বশির আল মামুন ,চকরিয়া :

কক্সবাজারের চকরিয়ায় ঈদের নামাজ চলাকালে একাধিক দুর্ধর্ষ ডাকাতি ও চুরির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে জনমনে। হঠাৎ করে ডাকাতি ও চুরির ঘটনা বেড়ে যাওয়াকে আইন-শৃক্সক্ষলা পরিস্থিতির অবনতি বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঈদের দিন বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পৌরশহর চিরিঙ্গার সরকারী হাসপাতালের পেছনে সৌদি প্রবাসী মাহমুদুল হকের ৬ তলা ভবনের দ্বিতীয় তলার নিজের ফ্লাটের কলিং বেল টিপে ৬-৭ সদস্যের মুখোশ পরা একদল সশস্ত্র ডাকাত ভেতরে ঢুকে পড়ে। এ সময় বাড়িতে থাকা প্রতিবন্ধি কন্যা সোনিয়া ও শিশু সায়মা, ছেলে আবরারকে অস্ত্রের মুখে জিম্মির পর হাত-পা বেঁধে এবং মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে বাথরুমে আটকে রাখে। এর পর দুটি আলমারির তালা ভেঙে প্রায় ২৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ দুই লক্ষ টাকা, একটি করে ল্যাপটপ ও ৬৫ হাজার টাকা দামের একটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।

প্রবাসী মাহমুদুল হকের ছেলে আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাঈদ জানান, ঈদের দিন সকালে নামাজ পড়ার জন্য ছোট ভাই আবরার ও দুই বোনকে বাড়িতে রেখে পাশ্ববর্তী মসজিদে যান। এ সুযোগে সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় এসে মুখোশ পরা একদল সশস্ত্র ডাকাত বাড়িতে হানা দেয়। এ সময় তারা কলিং বেল টিপলে আবরার এসে দরজা খুলে দেয়। ডাকাতি শেষে পালিয়ে যাওয়ার মুহূর্তে আমি বাড়ির দোতলার সিঁড়ি পর্যন্ত আসলে তাকে তিনজন ডাকাত অস্ত্র ঠেকিয়ে প্রাণে হত্যার ভয় দেখিয়ে চম্পট দেয়। এ সময় ডাকাত ডাকাত চিৎকার দিলে তারা পর পর দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলিও ছোড়ে। পরে পুলিশ ডাকাতির খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ডাকাতদের ফেলে যাওয়া দুই রাউন্ড গুলি, একটি মুখোশ, একটি ছোরা, রঁশি ও একটি স্কচটেপ উদ্ধার করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বুধবার চাঁদ রাতে একই কায়দায় ডাকাতি হয় কাকারা ইউনিয়নের সাকের মোহাম্মদ চর এলাকার মাষ্টার তাজুল ইসলামের বাড়িতে। ওই বাড়িতে হানা দিয়ে ডাকাতেরা প্রায় ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, লক্ষাধিক নগদ টাকা, মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। ঈদের দিন বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার হাসপাতাল সড়কের ভাড়াটিয়া পৌরসভার প্রকৌশলী মৃণাল কান্তি ধরের ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি চুরি হয়। ঈদের দিন সকালে পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মুজিবুল হকের ভাড়া বাসায় চোরের দল হানা দিয়ে মালামাল চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় এক চোরকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। ঈদের রাতে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের হাসের দিঘী এলাকার ঠিকাদার সাদেক হোছেনের ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় বাড়ির লোকজন ধাওয়া দিলে মোটর সাইকেলটি ফেলে পালিয়ে যায় চোরের দল। বিএমচর ইউনিয়নের বহদ্দার কাটাস্থ নিজ বাড়িতে চোরের দল হানা দিয়ে সাংবাদিক মনছুর আলমের স্ত্রীর ব্যবহৃত একটি দামি মোবাইল সেট নিয়ে যায়।

চকরিয়া থানার ওসি মো. জহিরুল ইসলাম খান বলেন, ‘যেখানে অপরাধ কর্মকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে পুলিশ তাৎক্ষণিক সেখানে অভিযান চালিয়েছে। গত কয়েকদিনে ডাকাতি ও চুরির ঘটনায় লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

 

পাঠকের মতামত: