ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

আজ চাঁদ দেখা গেলে কাল ঈদ জেলার প্রধান ঈদ জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে

কক্সবাজার প্রতিনিধি  :
আাজ মঙ্গলবার চাঁদ দেখা গেলে আগামীকাল বুধবার যথাযথ ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। ইতিমধ্যে জেলায় ঈদ উৎসবের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও কক্সবাজার পৌরসভার ব্যবস্থাপনায় কক্সবাজার জেলার প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায় কক্সবাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে। ঈদ জামাতে ঈমামতি করবেন কক্সবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মাহমুদুল হক। প্রচুর বৃষ্টি হলে অথবা আবহাওয়া খুব বেশি বৈরী হলে নিজ-নিজ মহল্লার মসজিদগুলোতে ঈদ জামাত হবে। কেন্দ্রীয় ইদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিতব্য প্রধান ঈদ জামাত উপলক্ষ্যে ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। মাঠের চারপাশে টাঙানো হয়েছে বর্ণিল সামিয়ানা।
ইসলাম ধর্মের রীতি মতে, এক মাস সিয়াম সাধনার রমযান শেষে পালিত হয় এ উৎসব। মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসবের অন্যতম এটি। স্বাভাবিক নিয়ম মতে পহেলা রমযান থেকে ঈদের প্রাথমিক প্রস্তুতি গ্রহণ করতে শুরু করেন মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন। ইসলাম ধর্মের বিধান মতে এক মাস পালন করা হয় রোজা। মহান স্রষ্টাকে খুশি করতে দিনের বেলা খাবার বন্ধ রেখে সিয়াম সাধনার উদ্দেশ্যে তা পালন করা হয়। মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম উৎসব ঈদকে ঘিরে রয়েছে নানা রীতি। যে যার অর্থনৈতিক সামর্থের উপর ভিত্তি করে সকল বয়সের মানুষ নতুন এবং পছন্দের পোষাক ঈদে পরিধান করে থাকেন। পুরুষরা ঈদের নামায আদায় করে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে আলিঙ্গন করে থাকেন ঈদের মাঠে। এ কুশল বিনিময়ের মধ্যে দিয়ে যেন সকল ভেদাভেদ ভুলে নতুন জীবন ও সকলে মিলে সুন্দর একটি সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণে অঙ্গিকার করা হয়। এর পর টানা ৩ দিন চলে প্রতিবেশি, আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে কুশল বিনিময়। এ কুশল বিনিময়ে মুসলিমদের পাশাপাশি অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষও অংশ নেন। ওই সময় বিভিন্ন প্রকার নাস্তা পরিবেশন বাঙ্গালী সমাজের অন্যতম রীতি। এর মধ্যে মাংস, রুটি, সেমাই, পিঠা পরিবেশন করা হয়। যে যার সাধ্যের মধ্যে এই নাস্তা তৈরী করে অতিথিদের আপ্যায়ন করে থাকেন। ঈদকে উপলক্ষ্য রেখে পোষাক ক্রয়, নাস্তার উপকরণ ক্রয় করতে মানুষেরা শেষ মূহুর্তের ভীড় জমে উঠেছে কক্সবাজার শহর সহ প্রতিটি উপজেলা ও গ্রামের মার্কেট এবং হাটগুলো। এখন চারিদিকে ঈদের আমেজ। ঈদের প্রস্তুতির শেষ মুহূর্তে সবাই ব্যস্ত। বিপনী বিতান, মুদির দোকান, বিউটি পার্লার থেকে শুরু করে দর্জি দোকান পর্যন্ত চলছে ঈদের শেষ মুহূর্তের আয়োজন।
কক্সবাজার শহরের মাকের্টগুলোতে এখন চলছে শেষ মুহুর্তের কেনাকাটা। সকল পেশার ও বয়সের মানুষ এখন মার্কেটমুখি। ইতিমধ্যে অধিকাংশ মানুষ নিজের ও পরিবারের অন্যান্যদের জন্য সাধ্যের মধ্যে নতুন পোষাক ক্রয় করে নিয়েছেন। আর যারা ক্রয় করেননি তারা শেষ মূহুর্তে ভীড় করছেন বিভিন্ন মার্কেটে। গতকাল সোমবার রাতেও বৃষ্টি উপেক্ষা করে জেলা শহরের মার্কেটগুলোতে উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এখন যে সব ক্রেতা আসছেন তারা পোষাক পছন্দ হলেই দর দাম করে ক্রয় করে নিচ্ছেন। ব্যবসায়ীরা কম লাভ হলেও শেষ ক্রেতাদের ফিরাতে রাজি হচ্ছেন না। ফলে বিক্রি হচ্ছে ভালো।শহরের প্রতিটি মাকের্ট রাতব্যাপী খোলা রাখা হচ্ছে। মার্কেট মুখি মানুষ পোষাক ও প্রসাধনী ক্রয় করছেন। পোষাক ক্রয়ের পাশাপাশি মুদির দোকানে চলছে সেমাই, নুডলস্, মাংস রান্নার উপকরণ, ময়দা সহ নাস্তা তৈরীর নানা উপকরণ ক্রয়। ঈদের দিন মেহমানদের অ্যাপায়নের জন্য যেন শেষ মুহুর্তে বাজারে দৌড়াচ্ছে মানুষ। শহরের বড় বাজার, বাহারছড়া বাজার, কালুর দোকান বাজার, কানাইয়ার বাজারে ক্রেতারা মাংস, মাছ এর পাশাপাশি সেমাই, নুডলস্, ময়দা, চিনি ইত্যাদি ক্রয় করছেন।

পাঠকের মতামত: