ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়া মহিলা কলেজে ভর্তি বাণিজ্য, অভিভাবক-ছাত্রীদের তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা

cnআবুহেনা মোস্তফা কামাল, চকরিয়া ::

উচ্চ মাধ্যমিক অধ্যয়নের সুযোগ বঞ্চনা, ঝরে পড়ার আশংকায় শংকিত ও চকরিয়া মহিলা কলেজের ভর্তি প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতা, দূর্নীতি ও চরম অব্যবস্থাপনায় তীব্র হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মেধা ও অপেক্ষমান তালিকা ভূক্ত ভর্তিচ্ছু একদল শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকবৃন্দ। তাদের অভিযোগ, কলেজে নামে মাত্র একটি ভর্তি কমিটি থাকলেও অধ্যক্ষ, কেমিষ্ট্রি নাছির ও আইসিটি জমিরের নেতৃত্বে জামায়াত বিএনপি বলয়ের একটি সিন্ডিকেট ভর্তি বাণিজ্যের মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়ার অধিকাংশই কর্তৃপক্ষ গোপন স্থানে লেনদেনের মাধ্যমে সম্পন্ন করেছে। তারা আরও বলেন, রমজান মাসে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত কলেজ ক্যাম্পাসে গত ৪ দিন ধরে অবস্থান করেও কর্তৃপক্ষের কাউকে খোজে পাওয়া যায় নি। উপায়ান্তর না দেখে ভর্তিচ্ছুদের পক্ষ থেকে ১৮ জন শিক্ষার্থী লিখিতভাবে কলেজ পরিচালনা সভাপতি এম.পি ও অধ্যক্ষ বরাবরে মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষায় আসনবৃদ্ধিপূর্বক অধ্যয়নের সুযোগ দানের আবেদন জানালে অধ্যক্ষ এম.পি মহোদয় আসন বাড়াতে নিষেধ করেছেন বলে তাদের অবহিত করেন। তাদের পক্ষে সাবেক ছাত্র নেতা অধ্যা: ফরিদুল ইসলাম রাসেল ও পৌর আ’লীগ নেতা আবুহেনা বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নারী শিক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ও ¯œাতক পর্যন্ত নারীদের অবৈতনিক শিক্ষা প্রবর্তনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভর্তিচ্ছুদের অধ্যয়নের সুযোগ দানের পক্ষে অনুরোধ জানাতে গেলে উপরোল্লেখিত ৩ জন তাদের চরমভাবে নিগৃহীত করেন ও প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুর নামোল্লেখপূর্বক অশালীন মন্তব্য ও গালিগালাজ করেন। এমনকি গতকাল সকাল ৯:০০ ঘটিকায় কেমিষ্ট্রি নাছিরের নেতৃত্বে একদল ভাড়াটে সন্ত্রাসী ভর্তিচ্ছুদের পক্ষে কথা বলতে যাওয়া ২ জনকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে বিতাড়িত করেন। তাছাড়া, বিক্ষুব্ধদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ আনলে উপস্থিত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী, অভিভাবক সবাই বাকরুদ্ধ হইয়া চলে যান। বিক্ষুব্ধরা জানান, প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুকে কটুক্তি ও অকথ্য গালিগালাজের বিষয়ে আদালতে মামলা দায়ের এবং আবেদনকারী ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা তাদের অধ্যয়নের আবেদন অগ্রাহ্যের বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কর্তৃপক্ষ ভর্তিকৃত প্রত্যেক শিক্ষার্থীর নিকট হইতে মন্ত্রণালয় কর্তৃক ধার্যকৃত ভর্তি ফির ৩-১০ গুণ টাকা আদায় করেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

পাঠকের মতামত: