স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আর্থিক অনুদানে চকরিয়া এলজিইডির তত্বাবধানে চকরিয়া উপজেলার ফাঁশিয়াখালী ইউনিয়নে ঘুনিয়া এলাকায় সেচ প্রকল্পের আওতায় ব্যুরো উৎপাদনে নির্মাণ করা হচ্ছে একটি ড্রেন। এই ড্রেন নির্মাণের ফলে পানি সরবরাহ নিশ্চিত হওয়ায় প্রায় তিন’শ হেক্টর জমি চাষাবাদ ও মৎস্য চাষের আওতায় আসবে। পাশাপাশি সুবিধা পাবেন এলাকার কৃষকরা। এতে করে অত্র এলাকায় সবুজ বিল্পব সাধিত হবে এবং মানুষের খাদ্য ঘাটতি লাগব হবে।
জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলার ফাঁশিয়াখালী ইউনিয়নের ঘুনিয়া এলাকায় ফাঁশিয়াখালী-কুমারীছড়া পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির লি: এর অধিনে স্থানীয় কৃষকরা দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকার আবাদি জমি শুকনো মৌসুমে কুমারী ছড়ার পানি দিয়ে ব্যুরো চাষ করে আসতো। কিন্তু পরিকল্পিত একটি ড্রেনের অভাবে ঠিকমতো ব্যুরো চাষে সেচ সুবিধা নিশ্চিত করা যেতো না। এতে কৃষকরা চরমভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হতেন। এ অবস্থায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী কৃষকদের সমস্যার কথা চিন্তা করে ব্যুরো ধান উৎপাদন ও মৎস্য চাষ করার নিমিত্তে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের বরাবরে একটি আবেদন করেন। এরপ্রেক্ষিতে চলতি অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর অংশগ্রহণ মুলক ক্ষুদ্রাকার পানি সেক্টর প্রকল্পের আওতায় ও অর্থায়নে ওই এলাকায় ১ কোটি ২৭ হাজার টাকা ব্যয়ে ২৯’শ মিটার একটি পাকা ড্রেন ও একটি অফিস ঘর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। চলতি মাসের শেষের দিকে এ নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়। ওই ঘরে বেশকিছু আসবাবপত্রও ক্রয় করা হয়। এই ড্রেনের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ায় ফাঁশিয়াখালী ইউনিয়ন সহ তার আশপাশ এলাকার শতশত একর জমিতে সেচের পানি ব্যবহার করে কৃষি কাজে লাগিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।
এদিকে কাজ শেষ হওয়ার পর ওই ড্রেন এবং অফিস ঘর বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য গতকাল ২৯জুন সকাল দশটায় ফাঁশিয়াখালী-কুমারীছড়া পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির লি: এর সাথে উপ-প্রকল্প হস্তান্তর চুক্তিনামা অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। এতে স্থানীয় প্রকৌশলী অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম আঞ্চলের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আশিষ কুমার পাল ফাঁশিয়াখালী-কুমারীছড়া পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির লি: এর সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীর কাছে চুক্তিনামা হস্তান্তর করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, এলজিইডি কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুরুল আলম ছিদ্দিকী, চকরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী আমিন উল্লাহ।
এদিকে ফাঁশিয়াখালী-কুমারীছড়া পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির লি: এর সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম জানান, এই সেচ প্রকল্পের আওতায় চাষাবাদের পাশাপাশি মৎস্য চাষও করা হবে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে চাষীদের ২১বার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ##
পাঠকের মতামত: