ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় থানায় কৃষককে তিন ঘন্টা নির্যাতন করার অভিযোগ

imagesচকরিয়া অফিস:

চকরিয়ায় পুলিশ এক কৃষককে থানায় ধরে নিয়ে তিন ঘন্টা রশি দিয়ে বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গছে। পুলিশ তার কাছ থেকে নগদ ১২ হাজার টাকা, একটি মোবাইল সেট ও কাজপত্র নিয়ে ফেলেছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে ঘটেছে এ ঘটনা। আজ ২৮ জুন/১৬ ইং তারিখ দুপুরে তাকে একটি মামলায় চকরিয়া কোর্টে চালান দেয়া হয়েছে।

চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের ছইনাম্যার ঘোনা এলাকার নুরুল আলমের স্ত্রী রেহেনা বেগম জানান, গত শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ১২-১৩ জনের একদল দুর্বৃত্ত তাদের বাড়িতে হানা দেয়। এসময় তারা মারধর করে রেহেনা বেগম (৩০), তার মেয়ে জন্নাত (১২), ছেলে ইউছুপ (১৬), ইউনুচ (১০) ও জুনাইদ (৮) কে আহত করে। দুর্ববৃত্তরা তার বাড়ি থেকে অস্ত্রের মুখে গরু বিক্রির নগদ ৪০ হাজার টাকা, এক ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। দুর্বৃত্তদের কয়েকজন পুলিশের পোশাক পড়া অবস্থায় ছিল। এঘটনায় রেহেনা বেগম সওদাগর ঘোনা এলাকার এরশাদ নামের এক ব্যক্তিকে চিনতে পেরেছেন। এব্যাপারে গত সোমবার রেহেনার স্বামী নুরুল আলম চকরিয়া পৌর সদরে একজন আইনজীবীর কাছে মামলা লিখতে যান। মামলার আর্জি লিখে ফেরার সময় রাত ৯ টার সময় চকরিয়া থানার এস.আই তানবির আহমেদ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। থানায় নিয়ে তাকে প্রায় তিন ঘন্টা অমানুষিক নির্যাতন করেন তিনি।

রেহেনা বেগম জানান, পুলিশের পোশাক পড়ে তাদের ঘরে ঢুকে লুটপাটের অভিযোগ তোলায় তাকে ধরে নির্যাতন করা হয়েছে। এস.আই তানবির আহমেদ কৃষক নুরুল আলমের কাছ থেকে নগদ ১২ হাজার টাকা, একটি মোবাইল সেট ও বিভিন্ন কাজপত্র নিয়ে নেয়।

এব্যাপারে এস.আই তানবির আহমেদ জানান; নুরুল আলমের বিরুদ্ধে একটি মুহিষ চুরির মামলা আছে। তাকে ওই মামলায় গ্রেফতার করে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি তাকে নির্যাতনের কথা অস্বীকার করেন।

রেহেনা বেগম জানান, এরশাদ নামের একজন মহিষ চোর গত ৬ মাস আগে তাদের একটি মহিষ চুরি করে নিয়ে যায়। ৬ মাস পরে ওই মহিষটি আবার তাদের বাড়িতে চলে আসে। এখন ওই মহিষ চোর উল্টো মহিষের মালিক কৃষক নুরুল আলমের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন। আমরাও ওই মহিষ চোরের বিরুদ্ধে চকরিয়া সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দিয়েছি। অথচ পুলিশ আমাদের কোন কথা না শুনে চোরের পক্ষ নিয়েছে। তিনি জানান, পুলিশের পোশাক পড়ে আমার বাড়িতে লুটপাটের ঘটনায় আমারা আরও একটি মামলা করবো। এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি জহিরুল ইসলাম খান বলেন, নুরুল আলম একটি মামলার আসামী। তাকে মারছে কী মারেনি এটা বড় কথা নয়। সে আসামী, তাকে কোর্টে চালান দেয়া হয়েছে।

পাঠকের মতামত: