ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

জঙ্গিদের দল আওয়ামী লীগ: খালেদা

image_159289_0নিজস্ব প্রতিবেদক :::

ঢাকা: আওয়ামী লীগকে জঙ্গিদের দল বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
রোববার সন্ধ্যায় সুপ্রিমকোর্ট বার এসোসিয়েশনের মিলনায়তনে ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।
খালেদা জিয়া বলেন, “আওয়ামী লীগ হলো জঙ্গিদের দল। জঙ্গিদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের যোগাযোগ আছে। এদের কাছে দেশি বিদেশে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র ও গোলাবারুদ আছে। কিন্তু জঙ্গির নাম করে ধরেন সাধারণ মানুষ। এদের ধরলেই সবকিছু পাওয়া যাবে।”

ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শওকত মাহমুদ।

খালেদা বলেন, “আজকে সারা দেশ কী চলছে। দখল আর লুটপাট ও দমনের মহোৎসব চলছে। প্রেস ক্লাব পর্যন্ত দখল হয়ে গেছে। প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকেরা ইফতার মাহফিল করতে পারেনি। নির্বাচন দিতে ভয় পেয়ে গারে জোরে সব দখল করছে।”

তিনি বলেন, “আজকে ক্ষমতায় যারা বসে আছে তারা জনগণ দ্বারা নির্বাচিত সরকার নয়। এব একটি অনির্বাচিত জনধিকৃত একটি সরকার। তাদের যদি সামান্যতম লজ্জা থাকতো তাহলে তারা  ক্ষমতা ছেড়ে নির্বাচন দিতো। সেই নির্বাচনের আসলে তারা যে কাজ করতো তার সমালোচনা হলেও বৈধতা পেতো। এ সরকার একের এক কাজ করছে তা বৈধ নয়।”

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, “বিচার বিভাগে নিরপেক্ষ বিচার ন্যায়বিচার পাওয়া যায় না। তাই ভালো আইনজীবী থাকা স্বত্ত্বে ন্যায়বিচার পাওয়া যায় না। যেসব কাজ করছে তার কোনো বৈধতা নেই।”

সরকারের সমালোচনা করে খালেদা বলেন, “নাইকো মামলা এক সঙ্গে হয়েছে। ফকরুইদ্দন- মঈনউদ্দিনের সময়ে শেখ হাসিনার ছিল ১৫টি মামলা। আমরা ছিল ৫টি মামলা। শেখ হাসিনার মামলা যদি উঠে যায় আমার মামলা চলে কিভাবে চলে। শেখ হাসিনার নির্দেশে সবকিছু হয়েছে। হাসিনার ১৫টি মামলা কিভাবে উঠে যেতে পারে। তার মামলা উঠে গেলে অন্য কারো মামলা থাকতে পারে না।”

তিনি বলেন, “ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিন সরকার যেসব মামলা দিয়েছিলো সেই মামলা প্রত্যেক নেতাকর্মীর হয়রানি করছে। সব মামলা রয়েছে। যেখানে আইনের শাসন নেই, বিচার বিভাগের কোনো স্বাধীনতা নেই।” খালেদা বলেন, “বিচার বিভাগের ওপর মানুষের আস্থা উঠে যাচ্ছে। বিচার বিভাগের প্রতি এই সরকারের কোনো বিশ্বাস তো নেই। বিচার বিভাগের নিদের্শ অমান্য করে একটির পর এক কাজ করে যাচ্ছে। আদালত বলেছেন বি-না বিচারে সাদা পোশাকে কাউকে ধরা যাবে না। কিন্তু এথন তা প্রতিনিতই গ্রেফতার করা হচ্ছে। মানুষদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।”
খালেদা বলেন, “কাউকে কথা বলতে দেয়া হয় না। শওকত মাহমুদ বিনা অপরাধে ১০ মাস জেল খেটেছেন। মাহমুদুর রহমান কারাগারে আছেন, গণগ্রেফতার করে বিএনপি ও সাধারণ মানুষ মিলে ১৫ হাজার গ্রেফতার করা হয়েছে।”
এ সময় সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- নয়াদিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, নিউজ টুডের সম্পাদক রিয়াজ রহমান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কবি আব্দুল হাই শিকদার, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গির আলম প্রধান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদ, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যাক্ষ সেলিম ভূঁইয়া।

বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ভাইসচেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, ডা. জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানা উল্লাহ মিয়া, সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট তৈয়মূর আলম খন্দকার, নিতাই রায় চৌধুরৗ, নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, অ্যাডভোকেট রফিক সিকদার।

পাঠকের মতামত: