ঢাকা,বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় চিংড়ি প্রকল্প কর্মচারী খুনের ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি, জড়িতরা বহাল তবিয়তে

faloupএম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :::

চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নে চিংড়ি প্রকল্পের কর্মচারী আবদুল কাদের ওরফে বালু খুনের ঘটনায় সোমবার রাত দশটা পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ দাফন করা হলেও ঘটনার সাথে জড়িতরা এলাকায় বহাল তবিয়তে রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার ভোররাতে উপজেলার চিংড়িজোন রামপুর এলাকার বদরখালী গুদামপাড়া নামক স্থানে গুলি করে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয় আবদুল কাদেরকে। নিহত আবদুল কাদের বদরখালী ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের গুদামপাড়া এলাকার নুর-উন-নবীর ছেলে।

নিহতের ভাই নুরুল কাদের জানান, বদরখালী গুদামপাড়া মৎস্য সমিতির মালিকানাধীন ইজারা নেয়া চিংড়ি প্রকল্পে আবদুল কাদের মৎস্য খামারঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। রোববার ভোররাত আনুমানিক চারটার দিকে ৮-১০জনের অস্ত্রধারী দুর্বৃত্ত চিংড়ি প্রকল্পের খামারঘরে হানা দিয়ে ঘুমিয়ে থাকা আবদুল কাদেরকে হাত-পা বেঁেধ তুলে নিয়ে যায়।

ইজারাদার নুরুল কাদের অভিযোগ করেছেন, ঘটনার সময় উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের রামপুর এলাকার লুৎফুর রহমানের নির্দেশে তার সহযোগি নুরুস ছাফা, বুলু মাষ্টার, কোরালখালীর বান্ডি মনু, সওদাগরঘোনার নুরুল আমিন, রাসেল, কাইছার হামিদ ও কোরালখালী এলাকার কামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে দুর্বৃত্তরা তার ভাইকে তুলে নিয়ে পাশের নাজেম উদ্দিন সওদাগরের মালিকানাধীন চিংড়ি প্রকল্পের খামারঘরে আটকে রেখে টানা দুইঘন্টা পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে।

নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করেছেন, ঘটনার সাথে জড়িত এসব দুর্বৃত্তরা এখনো এলাকায় বহাল তবিয়তে রয়েছেন।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.জহিরুল ইসলাম খাঁন বলেন, চিংড়িঘের কর্মচারী আবদুল কাদের হত্যার ঘটনায় সোমবার রাত দশটা পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দেয়া হয়নি। তবে অভিযোগ পেলে মামলা নেয়া হবে। তিনি বলেন, ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে। #

পাঠকের মতামত: