ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

ঈদগাঁও’র ঈদ বাজার ধীরে ধীরে জমে উঠছে

12সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও ::

১৯ রমজানের পরপরই কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও বাজারের বিভিন্ন মার্কেটে ঈদ বাজার জমে উঠছে ধীরে ধীরে। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সী ক্রেতারা মার্কেটমুখী হচ্ছে। এমনকি নারী-পুরুষের উপচেপড়া ভীড় লক্ষ্যণীয়। তবে ক্রেতারা চড়াদাম নিয়ে ফের বিপাকে পড়েছে। এদিকে নানা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লাখ লাখ টাকার পুঁজি খাটিয়ে ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়ছিল রমজানের শুরু থেকে। কিন্তু ১৯ রমজান পার হতে না হতেই ব্যবসা মোটামুটিভাবে জমে উঠায় ব্যবসায়ীদের মাঝে আশার আলো দেখা দিয়েছে।

তবে একাধিক ক্রেতার অভিযোগ যে, নানা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে ছোট-বড়দের কাপড় চোপড়ে ব্যাপকভাবে দাম হাকাচ্ছে। অথচ বিগত বছরের তুলনায় এবছর একটু ঈদ কাপড়ের দাম বৃদ্ধি বলে জানান অনেকে। আবার অনেকে দামের কারণে দোকান ঘুরে ঘুরে পছন্দের কাপড় দেখছেন। ক্রেতারা একটু দেরিতে হলেও মার্কেটমুখী হচ্ছে।

২৫ জুন ঈদগাঁও বাজার ঘুরে দেখা যায়, ঈদগাঁওর নিউ মার্কেট, রহমানিয়া মার্কেট, শফি সুপার মার্কেট, নুর শপিং কমপ্লেক্স, বেদার মার্কেট, মাতবর মার্কেট, কবিরাজ সিটি সেন্টার, তাজ শপিং কমপ্লেক্স, ফরাজী মার্কেট, ছকিনা মার্কেট, বঙ্গ মার্কেট, হাজী মার্কেট ও বাজারের আলোচিত পশ্চিমের কাপড়ের গলিতে উল্লেখযোগ্য ক্রেতার সমাগম ঘটেছে। বলতে গেলে ভরা মৌসুমেও মার্কেট ভরপুর হতে যাচ্ছে।

তবে কয়েক ব্যবসায়ীর মতে, ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে লাখ লাখ টাকার মালামাল এনে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভরপুর করে রেখেছে। টার্গেট আসন্ন ঈদ মৌসুমে বিকিকিনির লক্ষ্যে। সে পরিমাণ ক্রেতা বাজারমুখী না হওয়ায় তারা অনেকটা হতাশ হয়ে পড়েছিল। রমজানের মাঝপথে জমে উঠেছে ধীরে ধীরে ঈদের কেনাকাটা। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিকিকিনি হলেও বড় অংকের বিকিকিনির এখনো দেখা মেলেনি। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা স্ব স্ব মার্কেটে তাদের নিজ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান হরেক রকমের ডেকোরেশন পূর্বক আলোক সজ্জার মাধ্যমে ক্রেতাদের দৃষ্টিনন্দন করার জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

পাশাপাশি নিত্য নতুন ডিজাইনের সব বয়সী লোকজনের কাপড় চোপড়ে ইতিমধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে ক্রয় করা হয়েছে। আসন্ন ঈদ উপলক্ষ্যে ব্যবসায়ীদের ভরা মৌসুম হিসেবে ব্যবসায়ীরা সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। এখন শুধু অপেক্ষার পালা ক্রেতাদের। তার পাশাপাশি নানা মার্কেটের ন্যায় বিভিন্ন কোম্পানীর উন্নতমানের ব্র্যান্ডের কাপড়ের শো-রুম ও ঈদগাঁও বাজারে উদ্ভোধন করা হয়েছে। যেন বৃহত্তর ঈদগাঁও তথা ৬ ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল থেকে আসা ক্রেতাদের ভালমানের কাপড় উপহার দিতে পারে সে আশায়।

এ ব্যাপারে কয়েক ব্যবসায়ীর মতে, বহু টাকার নিত্য নতুন ডিজাইনের মালামাল এনে ঈদ মৌসুমে দোকান ভরপুর করেছি। সে পরিমাণ ক্রেতা দেখা যাচ্ছে না। অপরদিকে নানা মার্কেটের পাশাপাশি হকার কিংবা ফুটপাতে বসা ব্যবসায়ীরাও তাদের ব্যবসা পুরোদমে চালিয়ে যাচ্ছে। এককথায় আসন্ন ঈদ মৌসুম উপলক্ষ্যে তাদের এ ফুটপাত ব্যবসা জমে উঠছে।

কেননা, অল্পদামে ভাল ও উন্নতমানের কাপড় ক্রয় করতে পারে ক্রেতারা। প্রত্যন্ত গ্রামগঞ্জের হতদরিদ্র লোকজন ঈদ মৌসুমে তাদের সন্তানদেরকে ঈদের কেনাকাটা স্বরূপ কাপড় কিনতে ফুটপাত ব্যবসায় চলে আসে।

তবে দূর-দূরান্তের ক্রেতাদের মতে, পকেটমার, নকল টাকা, ঝাপটাবাজ, ছিনতাইকারী প্রতিরোধে ঈদগাঁওর ঈদ বাজারে নিরবিচ্ছিন্ন পুলিশী টহলের জোর দাবী জানান প্রশাসনের নিকট।

পাঠকের মতামত: