ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

গভীর রাতে বাবুল আক্তারকে নিয়ে গেছে পুলিশ

babulপুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে শুক্রবার গভীর রাতে রাজধানীর বনশ্রীতে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে নিয়ে গেছে পুলিশ। বাবুল আক্তারকে গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে রাখা হয়েছে বলে শোনা গেলেও এ বিষয়ে মুখ খুলছেন না পুলিশের কোনও কর্মকর্তা।

৫ জুন স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু খুন হওয়ার পর থেকে দুই সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় শ্বশুর বাড়িতেই থাকছিলেন এসপি বাবুল। তার শ্বশুর মোশাররফ হোসেন অবসরে গিয়েছিলেন পুলিশের ওসি হিসেবে।

মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় অফিসার মেসে ২৪তম বিসিএস পুলিশ কর্মকর্তারা আমার মেয়েকে নিয়ে শোকসভা ও ইফতার পার্টি আয়োজন করে। সেখানে ছিল বাবুল। সেখান থেকে রাত ১০টার দিকে রমনা কমপ্লেক্স আসে। তার দুই সন্তান তার সঙ্গেই ছিল। আইজিপির সঙ্গে দেখা করবে বলে রমনা কমপ্লেক্সের একটি পরিচিত বাসায় তাদের রেখে দেখা করতে যায়। এরপর আনুমানিক রাত সাড়ে ১২ টার দিকে তিনি সেখান থেকে বাচ্চাদের নিয়ে বাসায় আসেন। এর কিছুক্ষণ পরই পুলিশ আসে। খিলগাঁও থানার ওসি মঈনুল হোসেন ও মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার আনোয়ার হোসেন তাকে নিয়ে যায়। জামা-কাপড় পরিবর্তনেরও সুযোগ পায়নি।’

তিনি বলেন, ‘আইজিপি সাহেব দেখা করতে বলেছেন বলে ওকে নিয়ে গেল। এরপর তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারছি না। যারা নিয়ে গেল তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।’

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি সূত্র জানিয়েছে, তাকে ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। তবে কি কারণে তাকে আনা হয়েছে তা তিনিও জানেন না।

এবিষয়ে ডিএমপির জনসংযোগ কর্মকর্তা উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে  তিনি বিষয়টি স্পষ্ট করে কিছু জানাতে পারেননি।

মিতু হত্যার ঘটনায় চট্টগ্রামে যে মামলা হয়েছে, বাবুল আক্তারই তার বাদী। সে কারণে প্রায়ই তাকে নিজের দায়িত্বের বাইরেও পুলিশের কার্যালয়ে যেতে হতো বলে মোশাররফ হোসেন জানান।

মোশাররফ হোসেন বলেন বলেন, ‘গত পরশুদিন ইফতারের আগে আইজিপি স্যারের বাসায় ইফতারের দাওয়াত ছিল বলে ডেকে নিয়েছিল পুলিশ। আবার ফিরেও আসে। তবে এবার ১৫ মিনিটের কথা বলে নিয়ে যাওয়া হয়। অনেক সময় হলেও আর ফিরে আসেনি। এতেই আমাদের সন্দেহ হয়। যারা নিয়েছিল তারা কেউ ফোনও ধরছে না। আমরা জানি না কোথায় আছে। এবারই প্রথম এমন হলো। আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দিচ্ছে না কেন? ফোন বাজছে, ধরছে না কেন? বাসায় দুই বাচ্চা কাঁদছে।’

এ বিষয়ে জানতে খিলগাঁওয়ের ওসি এবং মতিঝিলের উপ কমিশনারকে কয়েকবার ফোন করা হলেও তারা ধরেননি।

 

পাঠকের মতামত: