ঢাকা,বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়া আদালতের সামনে মামলার বাদীকে অপহরণ চেষ্টার অভিযোগ

opohoron_1চকরিয়া প্রতিনিধি :::

চকরিয়া পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের পুকপুকুরিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে আব্দুচ ছোবহানকে অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জনের একদল দূর্বৃত্ত গত ২০ জুন রাত সাড়ে ৮টার দিকে মোবাইল ফোনে বাড়ী হতে ব্র্যাক অফিসের সামনে হয়ে ৫নং ওয়ার্ডের খামার পাড়া গ্রামের মরাপুকুরঘর নামক স্থানে নিয়ে আসে। ওই সময় আবদু ছোবহানের কাছ থেকে তিনটি খালি স্ট্যাম্পে জোর পূর্বক স্বাক্ষর আদায় করে দূর্বৃত্তরা। তৎ সময় জনৈক হেলাল মুন্সী মটরসাইকেল যোগে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আব্দু ছোবহানকে একটি ভিজিটিং কার্ড দিয়ে বলে যে, যারা আব্দু ছোবহান হইতে জোর পূর্বক স্ট্যাম্প নিয়াছে তাহাদেরকে ওই হেলাল মুন্সী চেনেন। এমনকি হেলাল মুন্সী বিচারের আশ্বাস দেন। কিন্তু হেলাল মুন্সী বিচার না করায় গত ২২জুন’১৬ইং ক্ষতিগ্রস্থ আব্দু ছোবহান বাদী হইয়া অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জনকে আসামী করে হেলাল মুন্সী সহ ৪ জনকে সাক্ষী বানিয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত চকরিয়ায় সি.আর ৬৪১/১৬ইং মামলা দায়ের করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হেলাল মুন্সী বাদী আব্দু ছোবহানকে কোর্টে দেখিয়া কোর্ট এলাকা হইতে জোর পূর্বক অপহরণ করার চেষ্টা করে। এক পর্যাযে চাপের মুখে হেলাল মুন্সীর নাম সাক্ষীর কলাম হইতে কেটে দেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ডিবি পুলিশের ওসি’কে তদন্তের জন্য নির্দেশ দেওয়ার পর বাদীকে আদালতের সামনে হেলাল মুন্সীর চেম্বারে নিয়া জোর পূর্বক আটক রাখিয়া পুনরায় স্ট্যাম্পে ও কাগজপত্রে স্বাক্ষর নেওয়ার চেষ্টাকালে সাহারবিল ইউনিয়নের মরহুম হাজী আলীমদনের পুত জাফর আলম সহ কয়েকজন সাহসিকতার সহিত দাঁড়াইয়া এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ৯নং ওয়ার্ড এবং ৫নং ওয়ার্ডের কমিশনার সহ উপস্থিত হইয়া ক্ষতিগ্রস্থ আব্দু ছোবহানকে উদ্ধার করে। তৎ সময় হেলাল মুন্সী আদালত চত্তরে মামলা দায়েরকারী বিজ্ঞ এডভোকেটগণকে ও সিনিয়র এড়ভোকেট সহকারীদের নাম ধরিয়া প্রকাশ্যে গালাগালি করে উদ্বত্যপূর্ণ আচরণ করে। হেলাল মুন্সী নিজে বিশ্বাস করিয়া সাক্ষী লিখেছে প্রশ্ন করিলে হেলাল মুন্সী আরও উত্তেজিত হইয়া বলে যে, অপরাধীরা মনে করিতেছে হেলাল মুন্সী সাক্ষী হইয়া অপরাধীনের বিরুদ্ধে মামলা করিতেছে তাই এই সব করিতেছি। ঘটনাস্থলে সকলে এক বাক্যে বলেন যে, নাটের গুরু হেলাল মুন্সী (পিতা-মৌং নুরুল আলম, সাং-করাইয়াঘোনা)। এই হেলাল মুন্সী ৪/৫ বৎসর আগে কোর্টে মুন্সী হিসাবে যোগদান করিলেও তার পূর্বে ২০/৩০ বৎসর আগে আসাম বিজ্ঞ আইনজীবী ও আইনজীবী সহকারীদের নিয়ে প্রায় সময় উদ্বত্যপূর্ণ আচরণ করিলেও তাহাকে কয়েকজন এই সব কাজে ব্যবহার করিয়া আদালতের পরিবেশ নষ্ট করিতেছে।

পাঠকের মতামত: