ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

রামু চৌমুহনীতে পাবলিক টয়লেট না থাকায় দূর্ভোগ

cnখালেদ হোসেন টাপু, রামু :::

কক্সবাজারের রামুর প্রাণকেন্দ্র চৌমুহনী বাস স্ট্যান্ডে গণ-শৌচাগার নেই। চৌমুহনী জুড়ে কোন একটি পাবলিক টয়লেট না থাকার কারণে দেশবিদেশী পর্যটক, দুরদুরান্ত থেকে আসা নারী ও পুরুষ অবর্ণনীয় দূর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এত বড় একটি বাণিজ্যিক স্টেশনে কেন টয়লেট স্থাপন করা হচ্ছে না, তা নিয়ে সচেতন মহলের মাঝে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। চৌমুহনীর সচেতন মহলের মতে পাবলিক টয়লেট না থাকার কারণে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে জনসাধারণকে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

জানা গেছে, রামু উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের প্রাণকেন্দ্র এ চৌমুহনী বাস ষ্টেশন। দেশবিদেশী পর্যটক ছাড়াও প্রতিটি ইউনিয়নের নারী-পুরুষ চৌমুনী ষ্টেশনে তাদের নিজস্ব কাজে আসেন এবং তাদের গৌন্তব্যে পৌঁছান। চৌমুহনীতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে প্রায় ৬০০ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এত বড় একটি বাণিজ্যিক ষ্টেশনে একটি পাবলিক টয়লেট নেই।

ভূক্তভোগীরা জানান, চৌমুহনী ষ্টেশনে নারী ও পুরুষদের জন্য তেমন কোন পাবলিক টয়লেট না থাকায় প্রতিনিয়ত বিপাকে পড়ছে মানুষ এবং বিভিন্ন স্থানে গিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে টয়লেটের কাজ সারছেন সাধারণ মানুষ।

রামু চৌমুহনী ক্ষুদ্র বণিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক সজল বড়–য়া জানান, চৌমুহনী ষ্টেশনে একটি পাবলিক টয়লেট খুবই জরুরী এবং পাবলিক টয়লেট না থাকায় প্রতিনিয়ত চৌমুহনীতে পরিবেশ দূষণ বাড়ছে। তিনি আরো জানান, জায়গা সংকটের কারণে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় সাংসদ, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে বিষয়টি অবহিত করা হলেও এখনো তা সমধান হয়নি। তবে সাংগঠনিক ভাবে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

রামু উপজেলা পরিষদ চেয়ারমান রিয়াজ উল আলম জানান, চৌমুহনী ষ্টেশনে একটি আধুনিক পাবলিক টয়েলেট নির্মাণের মতো উন্নয়ন কাজ করতে পর্যাপ্ত পরিমাণ স্থান না পাওয়ায় বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে চৌমুহনী ষ্টেশনে জায়গা নির্ধারণ করে নাগরিক সুবিধার্থে একটি আধুনিক মানের পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করার চেষ্টা করছি।

পাঠকের মতামত: