ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

বদলী আদেশ জারীর একবছর দুইমাস ১৫দিন পর কর্মস্থলে যোগদান!

cnআলীকদম (বান্দরবান) প্রতিনিধি ::

বদলী আদেশ অমান্য করে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার একবছর ২ মাস ১৫ দিন পর অবশেষে বদলীকৃত কর্মস্থলেই যোগদানে বাধ্য হলেন এক প্রধান শিক্ষক। এর আগে বদলী আদেশ অমান্য করে একবছর একমাস ১৯ দিন পর আকস্মিক পূর্বের কর্মস্থলেই গিয়ে হাজিরা খাতা ও মান্থলি রিপোর্ট (এমআর) ফরমে স্বাক্ষর করেছিলেন বদলী আদেশপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। এ ঘটনা ঘটেছে বান্দরবান পার্বত্য জেলার আলীকদম উপজেলায়। তবে কর্তৃপক্ষের বদান্যতায় শেষ রক্ষা হলো ওই প্রধান শিক্ষকের!

তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, আমতলী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্দেশে প্রধান শিক্ষক মীরা দত্তকে বদলীর নির্দেশ জারী করেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষক অফিসার। ওই আদেশে প্রধান শিক্ষককে ২০১৫ সালের ১৫ মার্চের মধ্যে প্রধান শিক্ষক মীরা দত্তকে আলীকদম উপজেলার কুরুকপাতা মৈত্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করে বলা হয়। কিন্তু এ আদেশ অমান্য করে বদলীকৃত কর্মস্থলে যোগদানে বিরত থাকেন মীরা দত্ত। চিকিৎসা ছুটির নামে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন দিনের পর দিন। সে সময় এ চিকিৎসা ছুটির কোনরকম অনুমোদনও নেন নি তিনি। অথচ এ ধরণের ছুটি অনুমোদনের ক্ষেত্রে সিভিল সার্জনের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তের প্রয়োজন আছে বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়।

এদিকে, বদলী আদেশ জারীর এক বছর একমাস ১৯দিনের মাথায় গত ২ মে পূর্বের কর্মস্থল আমতলী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষক হাজিরা ও মান্থলি রিপোর্ট (এমআর) ফরমে স্বাক্ষর করেন ওই প্রধান শিক্ষক। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের এসএমসি সভাপতি নুরুল ইসলাম ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষক মীরা দত্তের একগুয়েমি, রুক্ষ্ম আচরণ, ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকের সাথে দুর্ব্যবহার, কর্মস্থলে অনুপস্থিতি, উপবৃত্তির অর্থ আত্মসাত সংক্রান্ত ১০৭ জন স্বাক্ষরিত অভিযোগের জেরে প্রধান শিক্ষক মীরা দত্তকে বদলী করা হয়। কিন্তু মীরা দত্ত কর্তৃপক্ষের আদেশ অমান্য করেন দীর্ঘদিন।

এ ব্যাপারে আমতলী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, বদলী আদেশ জারীর একবছরের অধিক সময় পরও প্রধান শিক্ষক মীরা দত্ত এ স্কুলের আলমিরার চাবি ও আনুষাঙ্গিক নথিপত্র বুঝিয়ে দেননি। এ কারণে দাপ্তরিক কাজে নানা সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।

জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নির্দেশে উনি (মীরা দত্ত) কুরুকপাতা মৈত্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেছেন’।

– মমতাজ উদ্দিন আহমদ

আলীকদম (বান্দরবান) প্রতিনিধি

পাঠকের মতামত: