ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

রামুতে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে দু’পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহত ১০ ॥ বসত বাড়ি তছনছ

১২সোয়েব সাঈদ, রামু ::;

রামু উপজেলার চাকমারকুল ইউনিয়নের শ্রীমুরা এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে দু’পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। এতে নারী-শিশু সহ ১০ জন আহত হয়েছেন। প্রতিপক্ষের লোকজন বেপরোয়া হামলা চালিয়ে একটি বসত বাড়ি ব্যাপক ভাংচুর করেছে। সোমবার (২০ জুন) দিনদুপুরে সংগঠিত এ ঘটনায় এলাকা উত্তেজনা বিরাজ করছে।

ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিক বাদশা মিয়ার স্ত্রী রাশেদা বেগম ও পুত্রবধূ রফিকা ইয়াছমিন জানিয়েছেন, সম্প্রতি তাদের বাড়ির ছাউনী দিয়ে বৃষ্টি পড়লে বাড়ির আসবাবপত্র পানিতে ভিজে নষ্ট হচ্ছিলো। একারনে বাড়ির সেই অংশে প্লাষ্টিকের ছাউনী দেয়ার সময় পার্শ্ববর্তী মমতাজ আহমদের নেতৃত্বে জসিম, রমজান, মিজান, সিরাজুল ইসলাম সহ অর্ধশতাধিক ভাড়াটে লোকজন তাদের উপর হামলায় চালায়। হামলায় মতিয়া বেগম, ফরিদুল আলম, রাশেদা বেগম, আয়েশা বেগম, সাইফুল ইসলাম, রোমেনা আকতার, নুর ইয়াছমিন আহত হন। হামলাকারিরা তাদের কাঠ ও টিনের বেড়া দিয়ে তৈরী বসত ঘরটিতে ভাংচুর চালায়। এতে পুরো ঘরটি তছনছ হয়ে গেছে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে বলে জানান তারা।

এঘটনায় অভিযুক্ত মমতাজ আহমদের মা উমদা খাতুন জানান, জমি নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিলো। থানায় বৈঠক হলেও বাদশা মিয়া সেই বৈঠকে না গিয়ে উল্টো কাজ শুরু করে। তারা কাজ না করার অনুরোধ জানালে বাদশা মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা তাদের উপর দা লাটি সোটা নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় তার ছেলে মমতাজ আহমদ, তৈয়বা বেগম, আমিনা বেগম, রবি উল্লাহ, জসিম, ইসমত আরা আহত হন। আহতদের মধ্যে গুরুতর জখম হওয়ায় মমতাজ আহমদ ও জসিম এখনো কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছেন। এরমধ্যে দা এর কোপে জসিম গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হয়েছেন।

বাদশা মিয়ার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিরোধিতার জের ধরে নব নির্বাচিত ইউপি সদস্য আবু বক্করের ভাই সিরাজুর ইসলাম এ ঘটনায় ইন্ধন দিয়েছেন। হামলায় জড়িত দুপক্ষই এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন এবং দুপক্ষই আইনের আশ্রয় নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।

এদিকে ঘটনার পর রামু থানার এএসআই মনির এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ভাংচুর হওয়া বাড়ি পরিদর্শন করেন।

ওই ওয়ার্ডের নব নির্বাচিত ইউপি সদস্য আবু বক্কর জানিয়েছেন, থানা পুলিশের নিষেধ উপেক্ষা করে কাজ করছিলেন বাদশা মিয়া। এতে বাঁধা দিতে গেলে বাদশা মিয়ার লোকজন মমতাজ আহমদ ও জসিমকে কুপিয়ে আহত করে। তিনি বসত ভাংচুর ও উভয়পক্ষের লোকজন এ ঘটনায় আহত হয়েছেন বলেও জানান।

এলাকাবাসী সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা চিহ্নিত করে মারধর ও বসত বাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করেছেন।

####

সোয়েব সাঈদ

রামু প্রতিনিধি

২১ জুন ২০১৬

পাঠকের মতামত: