ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

চকরিয়ায় আইনজীবির বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা !

mamla.চকরিয়া অফিস ::

চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের কর্মরত এক আইনজীবির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন এবং পর্ণোগ্রাফী আইনে কক্সবাজার নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা (জিআর ২৯২/১৫) দায়ের করেন উখিয়া উপজেলার আরেফা বেগম নামের এক মহিলা। আদালতের নির্দেশে মামলাটি তদন্তের জন্য পাঠানো হয় চকরিয়া থানার ওসির কাছে। এর প্রেক্ষিতে থানার ওসি মামলাটি তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেন চকরিয়া থানার এসআই রফিকুল ইসলামকে। ইতোমধ্যে গত ১৯ এপ্রিল তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে মামলাটির চুড়ান্ত প্রতিবেদন (নম্বর-৫০) দাখিল করেছেন। মামলাটিতে আসামি বা সাক্ষীর তালিকায় নাম না থাকলেও তদন্ত কর্মকর্তার দাখিল করা প্রতিবেদনে চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের সিনিয়র আইনজীবি গিয়াস উদ্দিন ও আইনজীবি সহকারি নুরুল আবছারকে কাকতলীয়ভাবে আসামী করা হয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ভরন্যাচর গ্রামের মোস্তাক আহমদের ছেলে সফিক আহমদের সাথে আইনজীবি সহকারি নুরুল আবছারের মধ্যে গ্রাম্য শত্রুতা রয়েছে। এ কারনেই মামলাটির উদ্ভদ হয়েছে। তবে মজার বিষয় হচ্ছে আদালতে মামলাটি রুজু করার সময় ভুক্তভোগী আইনজীবি সহকারি নুরুল আবছার একটি মামলায় কক্সবাজার জেলা কারাগারে আটক ছিলেন।

চকরিয়া পৌরসভার ৪নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিন বাটাখালী গ্রামের বাসিন্দা আইনজীবি সহকারি নুরুল আবছার অভিযোগ করেছেন, আদালতে দাখিল করা চুড়ান্ত প্রতিবেদনে কৈয়ারবিল ইউনিয়নের বাসিন্দা সফিক আহমদের সাথে আমার গ্রাম্য শত্রুতার যে অভিযোগটি আনা হয়েছে তা একেবারে ভিত্তিহীন। কারন আমার বাড়ি চকরিয়া পৌরসভা এলাকায়। অপরদিকে সফিক আহমদের বাড়ি উপজেলার অন্তত ৮কিলোমিটার দুরে কৈয়ারবিল ইউনিয়নে।

আইনজীবি সহকারি নুরুল আবছার বলেন, সফিক আহমদের সাথে ব্যক্তিগতভাবে আমার পরিচয় নেই। এমনকি তার সাথে আমার কোন ধরণের সম্পৃক্ততাও নেই। ঠিক কি কারনে তদন্ত কর্মকর্তা ওই ব্যক্তিকে আমার শত্রু বানিয়ে দিয়েছে তা নিয়ে আমি সন্দিহান। অনুরুপ অভিযোগ চকরিয়া উপজেলা আদালতে কর্মরত সিনিয়র আইনজীবি এডভোকেট গিয়াস উদ্দিনের। তিনি বলেন, আইনজীবি সহকারি নুরুল আবছার আমার অধীনে আদালতে কাজ করেন, এর বেশি কিছু নেই। কিন্তু কি কারনে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে দাখিল করা মামলার চুড়ান্ত প্রতিবেদনে আমার নাম উপস্থাপন করেছে তা ভাবিয়ে তুলেছে। এই রকম মনগড়া তদন্ত কি করে সম্ভব।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকরিয়া থানার এসআই রফিকুল ইসলামের দাখিল করা চুড়ান্ত প্রতিবেদনে এমন গোলক ধাঁধার সৃষ্টি হওয়ায় ইতোমধ্যে ভুক্তভোগী এডভোকেট গিয়াস উদ্দিন ও আইনজীবি সহকারি নুরুল আবছার এব্যাপারে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে জানতে চেয়েছেন। কিন্তু তিনি তাদেরকে সঠিকভাবে সদুত্তর দিতে পারেননি বলে দাবি করেন ভুক্তভোগীরা। এ অবস্থার প্রেক্ষিতে তাদের নিয়োজিত কৌশলে চকরিয়া উপজেলা আদালতের আইনজীবি এডভোকেট ছবুরা খানমের মাধ্যমে গ্রাম্য শত্রুতা দেখানো সফিক আহমদের প্রকৃত পরিচয় জানতে তাঁরা ইতোমধ্যে স্থানীয় কৈয়ারবিল ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকরিয়া থানার এসআই রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি মামলার সাক্ষ্য দিতে সিলেটে আছি। তাই বিস্তারিত কথা চকরিয়া থানায় আসলে বলতে হবে। তবে তিনি বলেন, মামলাটির প্রতিবেদন এখনো দেয়া হয়নি। তদন্তের জন্য আদালত থেকে আরো ১৫দিনের সময় চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত: