ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

বর্ষা তো এসে গেছে…

2016_06_15_10_44_48_hsfVje4dwDubfHAQtF0VsvE8XZUPTY_originalঅনলাইন ডেস্ক ::

আষাঢ়ে বাদল নামে, নদী ভর ভর / মাতিয়া ছুটিয়া চলে ধারা খরতর। ঋতুচক্রের আবর্তে রবীন্দ্রনাথের সেই কাব্যিক প্রকাশেই প্রকৃতিতে এসে গেছে বর্ষা। আজ আষাঢ়ের প্রথম দিবস। অবশ্য ক’দিন ধরেই বর্ষার আগমনী বৃষ্টিতে অবিরাম মেতেছে প্রকৃতি। গ্রীষ্মের দাবদাহ-ধুলোমলিনতা আর জীর্নতা ধুয়ে প্রকৃতি আজ গাইছে যেন সবুজের জয়গান।

নদীগুলোতে উপচে পড়া জলের বন্যা, আকাশেও মেঘের ঘনঘটা। কেউ কারো চেয়ে পিছিয়ে নেই। সবাই বলছে ডেকে- বর্ষাতো এসে গেছে।

বর্ষাসতেজ বাতাসে মিশেছে জুঁই, কামিনি, কদম, বেলিসহ অজানা-অচেনা সহস্র ফুলের সুবাস। কেয়ার বনেও কেতকীর মাতামাতি।

প্রতিবছরের মত এবারও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন আর গানের দল নানান ঢঙে করছে বর্ষাবরণ। সেই সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতেও থাকছে বর্ষার আয়োজন। বিশেষ করে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর বর্ষাবরণ ঢাকার নাগরিক জীবনেরই অংশ হয়ে উঠেছে গত কয়েক বছর ধরে। প্রতিবছরের মতো এবারও তারা বর্ষা আবাহনের লক্ষে বর্ষা উৎসবের আয়োজন করেছে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে। সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়ে এ উৎসব চলবে বেলা ১১টা পর্যন্ত।

এছাড়া দেশের নৃতাত্বিক গোষ্ঠীর বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে রয়েছে বর্ষাকে নিয়ে নানা মিথ। তারই অংশ হিসেবে কক্সবাজারের রাখাইন সম্প্রদায় বর্ষাকে বরণ করে ভিন্ন আয়োজনে। প্রতিবছর তারা কক্সবাজরর সমুদ্র সৈকতে মাসব্যাপি বর্ষাবরণ উৎসবের আয়োজন করে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ওই সম্প্রদায়ের লোকেরা যোগ দেয় এ উৎসবে।

তবে বর্ষা যেমন আনন্দের, আবার বর্ষার হঠাৎ নির্মম নৃত্য তেমনি বিষাদে ভরিয়ে তোলে নদীমাতৃক বাঙলার জনপদ আর নগর জীবনকে। যা ইতিমধ্যেই অনুভূত হয়েছে দেশে। মানুষও তাই শঙ্কিত কি হয় শেষে। তবুও বর্ষা বাঙালি জীবনকে জাগিয়ে তোলে নতুনের আহ্বানে। মাটিতে নতুন পলির আস্তরণ আনে ফসলের বারতা। সারা বছরের খাদ্য-শস্য-বীজের উন্মেষ ঘটবে বর্ষার ফেলে যাওয়া অফুরন্ত সম্ভাবনার এ পলিমাটি থেকেই। কারণ সুজলা, সুফলা, শস্য-শ্যামলা বাঙলা মায়ের নবজন্ম এই বর্ষাতেই।

 

পাঠকের মতামত: