ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

চকরিয়ায় ভেজাল খাবারের রমরমা ব্যবসা

basikhabarপারভিন সোলতানা সুচি, চকরিয়া:
চকরিয়া পৌর শহরের চিরিংগা পবিত্র রমজান মাসে অধিকাংশ হোটেল-রেষ্টুরেন্টে অবাধে বিক্রি হচ্ছে ভেজালও পঁচা-বাসি খাবার। বিভিন্ন সময় ভ্রাম্যমান আদালতের ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালিত হলেও দীর্ঘদিন ধরে সেই একই নিয়মে চলে আসছে ভেজাল খাবারের রমরমা ব্যবসা। কাউছার নামে এক যুবক জানান, ওই সব দোকান গুলোতে অমানবিক ভাবে দেদাঁরচ্ছে অস্বাস্থ্যকর খাবার বিক্রির মাধ্যমে ক্রেতাদের প্রতারনা করে যাচ্ছে। সেনেটারী ইন্সপেক্টরের কর্মতৎপরতা অনেক গুণের বৃদ্ধি করাসহ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা সব সময় জরুরী বলে মনে করেন সচেতন মহল।
সরেজমিন পরির্দশন করে জানা গেছে, চিরিংগা বাণিজিক এলাকা হওয়ায় পাশ্ববর্তী উপজেলার লোকজন চিরিংগা সওদা করতে আসে প্রতিনিয়িত। তাই এসব হোটেল মুখি হয় তারা। চিরিঙ্গা কাঁচাবাজার সড়ক ও ইসলামী ব্যাংকের পিছনে গড়া উঠা ৫/৬ টি হোটেল রেষ্টুরেন্টের পরিবেশ খুবই অস্বাস্থ্যকর। এসব দোকানের খাদ্য গুলোতে খোলা নোংরা পরিবেশে সেখানে খাদ্য দ্রব্য তৈরি করে বিক্রি হচ্ছে।
দোকান গুলোর রান্না ঘরের, ভেতরে স্যাঁতস্যাঁতে ময়লা, দুর্গন্ধ এবং রান্না করা খাবার গুলো ঢাকা থাকে না, ময়লাও মাছির উপদ্রব কম নয়। রান্নায় ব্যবহার করা পানি গুলোও বিশুদ্ধ নয়। বসার চেয়ার টেবিল গ্লাস-জগ অপরিস্কার।
জানা গেছে, ব্যবসায়িক কৌশলগত কারনে পুকুরের পানি ব্যবহার করে যাচ্ছে অধিকাংশই হোটেল। পেকুয়া থেকে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা হেলাল জানান, পৌর শহরের চিরিংগা গড়ে উঠা হোটেল রেষ্টুরেন্টে অপরিস্কার পঁচাবাসির খাবার বিক্রি করা হচ্ছে। তাছাড়া বয়দের শারিরীক অপরিচ্ছন্নতা, পোষাক সচেতনতা ও ক্রেতা সার্ভিস অত্যন্ত নাজুক। এবং বে আইনি শিশুশ্রম আছে। স্থানিয়রা জানান, সরকারীভাবে বাসি খাবার বিক্রিসহ অপরিচ্ছন্নতার আইন থাকলে তার প্রয়োগ নাই। চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাহেদুল ইসলামের ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করার জন্য হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।

পাঠকের মতামত: