ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় ভারী বর্ষণে ভেঙ্গে যাচ্ছে গ্রামীণ রাস্তাঘাট, বাড়ছে জনদুর্ভোগ

ৃৃৃুযযযযচকরিয়া অফিস :

চকরিয়ায় টানা ভারী বর্ষণে বেশির ভাগ গ্রামীণ সড়ক ভেঙ্গে পড়েছে। এতে করে সংশ্লিষ্ট এলাকায় জনগনের স্বাভাবিক চলাচলে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে এলাকায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে করে উপজেলার চিংড়িজোন ফের বন্যায় তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বরইতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জালাল আহমদ সিকদার বলেন, তার ইউনিয়নের গোবিন্দপুর এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের একাধিক অংশের বেঁিড়বাধ গতবন্যার সময় ভেঙ্গে গেছে। বর্তমানে এসব ভাঙ্গা অংশ দিয়ে মাতামুহুরী নদীর পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। এতে এলাকার বেশির ভাগ জনবসতি পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, ৪মাস আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ সমুহ সংস্কারে টেন্ডার আহবান করেন। কিন্তু চলতি অর্থবছরের সময় প্রায় শেষ হলেও অদ্যবধি ঠিকাদারী প্রতিষ্টান কার্যাদেশ পেয়েও সংস্কার কাজে হাত দেয়নি। এব্যাপারে তিনি চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের চকরিয়া শাখা কর্মকর্তা (এসও) কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, বরইতলী ইউনিয়নে দুটি প্যাকেজে টেন্ডারের মাধ্যমে বেড়িবাঁেধর কাজ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ঠিকাদারী প্রতিষ্টান একটি প্যাকেজের কাজ প্রায় সম্পন্ন করেছে। অপর প্যাকেজের কাজ করতে গিয়ে স্থানীয় জনগনের আপত্তির মুখে কাজ করা যাচ্ছেনা। জনগনের কি রকম আপত্তি জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশিষ্ট প্যাকেজের আওতায় বেড়িবাঁেধর পাশাপাশি একটি ভাঙ্গা মেরামত করা হচ্ছে। কিন্তু ওই ভাঙ্গা অংশটির চেয়ে আরো একটি বড় ভাঙ্গা বেড়িবাঁধটিতে থাকায় জনগন এক সাথে দুটি ভাঙ্গাই সংস্কারের জন্য আপত্তি করেন। কিন্তু অর্থ বরাদ্ধের অভাবে গৃহীত টেন্ডারে বড় ভাঙ্গা অংশটি সংস্কারের উদ্যোগ নিতে পারেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড। তাই জনগনের আপত্তির মুখে অপর প্যাকেজের কাজ শুরু করা বিলম্ব হচ্ছে। পাউবো’র এ কর্মকর্তা আরো বলেন, জনগন চাইলে আমরা এ মাসের মধ্যেই টেন্ডারে আহবানকৃত ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ ও ভাঙ্গা অংশটি সংস্কার করে দেবো। তবে কাজ না করে ঠিকাদারী প্রতিষ্টানকে বিল দেবেনা পাউবো। ইতোমধ্যে অবশিষ্ট প্যাকেজের কাজটি সহসা সংস্কারের জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্টানকে নির্দেশ দিয়েছেন কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী।

সাহারবিল ইউপি চেয়ারম্যান মহসিন বাবুল বলেন, টানা ভারী বর্ষণে ইউনিয়নের বেশির ভাগ গ্রামীণ রাস্তাঘাট ভেঙ্গে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে করে জনগনের চলাচলে চরম ভোগান্তি বেড়েছে। তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পিআইও ক্ষতিগ্রস্থ এসব রাস্তাঘাট পরির্দশন করেছেন।

চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম বলেন, টানা বৃষ্টিপাতের কারনে উপজেলার বেশির ভাগ ইউনিয়নে গ্রামীণ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ইতোমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে পরির্দশন করা হয়েছে। বৃষ্টিপাত বন্ধ হলেই ক্ষতিগ্রস্থ এসব গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ##

পাঠকের মতামত: