ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

দশ ইউনিয়নে চব্বিশ ঘন্টার অন্ধকার

38-300x122আতিকুর রহমান মানিক, কক্সবাজার ::

 কক্সবাজার সদরের বৃহত্তর ঈদগাঁওর ৭ ইউনিয়ন, রামু উপজেলার ঈদগড় ও রশিদনগর ইউনিয়ন এবং পার্বত্য নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারীসহ বিশাল এলাকা প্রায় চব্বিশ ঘন্টা ধরে অন্ধকারে ডুবে রয়েছে। পল্লী বিদ্যুতের কান্ডজ্ঞানহীন লোডশেডিংয়ের ফলে উপরোক্ত ১০ ইউনিয়নের প্রায় বিশ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। ভুক্তভোগী গ্রাহকরা ফোন করে এ প্রতিবেদককে জানান, বৃহস্পতিবার ভোররাতে সেহেরী খাওয়ার পরপরই বিদ্যুৎ চলে যায়। এরপর সারাদিন ও রাত বারটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিদ্যুৎ আসেনি। এর মধ্যে সন্ধ্যার পর মিসড কল দেয়ার মত কয়েকবার বিদ্যুৎ আসলেও তার স্হায়ীত্ব ছিল সবমিলিয়ে দেড় মিনিটের মত। পবিত্র রমজান মাসে ইবাদত বন্দেগী, লেখাপড়া ও রান্না-বান্নাসহ প্রয়োজনীয় কাজকর্ম করতে না পেরে চরম ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন গ্রাহকরা। উল্লেখ্য, কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন ঈদগাঁও বিদ্যুৎ সাব ষ্টেশন থেকে এসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ন্ত্রন করা হয়। উপরোক্ত ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ ঈদগাঁও বিলিং এরিয়া অফিসের এজিএম ফয়সাল আহমেদ বলেন,উপকেন্দ্রে যান্ত্রিক ত্রুটির ফলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজারের দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তিনি বলেন, চাহিদার তুলনায় ইদানীং সরবরাহ কম থাকায় লোড ম্যানেজমেন্ট করতে কোন কোন লাইন বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এরপরেও আগের চেয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বেড়েছে দাবী করে তিনি আরো বলেন, কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪ টি ফিডারে আগে বিল আদায় হত ৮ কোটি টাকা, এখন আদায় হচ্ছে ১১ কোটি টাকা। ঈদগাঁওতে চলমান লোডশেডিংয়ের ব্যাপারে ঈদগাঁও অফিসে যোগাযোগ করারও পরামর্শ দেন জি এম। এদিকে ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের শিকার হয়ে ফুঁসে উঠছেন গ্রাহকরা। বৃহত্তর ঈদগাঁওতে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্হিতির উন্নতি না হলে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎবঞ্চিত ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা।

পাঠকের মতামত: