ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

রামুর ইউএনও’কে বয়কটের সিদ্ধান্ত নবনির্বাচিত ১০ ইউপি চেয়ারম্যানের

রামু প্রতিনিধি :::

রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বেগম সেলিনা কাজীকে বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নবনির্বাচিত ১০ ইউপি চেয়ারম্যান। সোমবার (৬ জুন) বিকেলে উপজেলার এক হোটেলে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় উপস্থিত ইউপি চেয়ারম্যানরা বলেন, ইউএনও বেগম সেলিনা কাজীর স্বামী শিবিরের সাবেক সাথী। ইউএনও তার স্বামীর মাধ্যমে বিএনপি’র প্রার্থীদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা আদায় করে ৫ম ও ৬ষ্ঠ দফায় অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে বিএনপি’র প্রার্থীদের জেতাতে মরিয়া হয়ে কাজ করে করেন। সভায় ইউএনও বেগম সেলিনা কাজীকে রামু থেকে অপসারণের দাবী জানানো হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম, চাকমারকুল ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার, খুনিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুল মাবুদ, ঈদগড় ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমদ ভুট্টো, গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম চৌধুরী, কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ, জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান কামাল শামসুদ্দিন আহমদ প্রিন্স, রাজারকুল ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মুফিজ আহমদ, দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ইউনুছ ভুট্টো, রশিদ নগর ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শাহ আলম।

সভাশেষে কক্সবাজার (সদর-রামু) ৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল ও রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলমের সাথে মতবিনিময় করেন নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানরা। মতবিনিময়কালে রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেগম সেলিনা কাজীকে অপসারণের দাবী জানানো হয়। সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল ও উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজউল আলম আশ্বস্থ করে বলেন, এ ব্যাপারে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে অবহিত করা হবে।

এদিকে, শনিবার (২৮ মে) ও শনিবার (৪ জুন) রামু উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৫ম ও ৬ষ্ঠ দফায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিদ্রোহীসহ আওয়ামীলীগের ১০জন ও বিএনপি’র ১ জন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

পাঠকের মতামত: