ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় একাধিক স্থানে ব্যাপক সংঘর্ষ, আহত অর্ধ শতাধিক

স্টাফ রিপোর্টার, চকরিয়া :
চকরিয়ায় কয়েকটি স্থানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রমজানের প্রথমদিনে বিভিন্ন জায়গায় এমন সংঘর্ষ ও রক্তপাতের ঘটনা দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে। সংঘর্ষে অন্তত অর্ধ শতাধিক নারী-পুরুষ আহত হয়েছে। তন্মধ্যে ২৫ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ৯ জনকে মুমুর্ষ অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। অন্যদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সবকটি ঘটনাই জমি ও সীমানা বিরোধের জের ধরে সংঘটিত হয়েছে বলে এলাকাবাসী ও জনপ্রতিধিরা জানিয়েছেন। গতকাল সারাদিন বিভিন্ন সময়ে পৌরসভার হালকাকারা, জালিয়াপাড়া, পুকপুকুরিয়া, সাহারবিল ইউনিয়নের চৌয়ারফাঁড়ি এলাকায় এসব সংঘর্ষের ঘটনাগুলো ঘটে।
আহতরা হলেন পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের জালিয়া পাড়ার মৃত আবু তাহেরের পুত্র ছমিউদ্দিন (৫০), আবু তাহেরের স্ত্রী রূপ বাহার (৭০), ছমিউদ্দিনের স্ত্রী ছেনুয়ারা বেগম (৩৫), আবদুল লতিফের ছেলে মো. মানিক (৩৫), জাকির আলমের পুত্র সালাহউদ্দিন (২৫), আবদুল আজিজের স্ত্রী কাউসারা বেগম (৩৪), মো. এনামের স্ত্রী সুলতান আরা বেগম (২৫), মনির উদ্দিনের স্ত্রী রওশন আরা বেগম (২৫), মোজাম্মেল হকের কন্যা রুমা বেগম (১৭), পুকপুকুরিয়া গ্রামের মৃত কালামিয়ার পুত্র মো. জাকারিয়া (৪০), তাজর মল্লিকের পুত্র বাদশা মিয়া (৩২), মো. ইয়াহিয়া খান (২৮), ছবুর খান (৩০), বশির আহমদের পুত্র মিরাজ উদ্দিন (১৫), আকতার উদ্দিনের পুত্র ফজল করিম (৩৫), কালা মিয়ার স্ত্রী মেহেরুন্নেছা (৫৫), বাবু মিয়ার পুত্র মো. হেলাল উদ্দিন (৩৫), হেলাল উদ্দিনের পুত্র আকিব (১২), শাহ আলমের স্ত্রী সাহানা বেগম (৩২), মৃত মনিরুজ্জামানের পুত্র বৃদ্ধ মকবুল আহমদ (৭৪), তার চার পুত্র পুত্র রুস্তম আলী (২৩), জাহাঙ্গীর আলম (২২), জমির উদ্দিন (২৮) ও মনোর আলম (৩১)।
পৌরসভার পুকপুকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক পৌর কাউন্সিলর হুমায়ন কবির জানান, বিরোধীয় জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন সালিশ-বৈঠকও হয়। এমনকি আদালতও মকবুল আহমদ গংকে তাদের জায়গায় নির্মাণকাজ চালাতে আর কোন বাঁধা নেই বলে অবারিত করে দেয়। এর পরও প্রতিপক্ষ সংঘবদ্ধ হয়ে মকবুল আহমদের পরিবারের ওপর সশস্ত্র হামলা চালালে একই পরিবারের একসঙ্গে ৭-৮জন ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়। তাদেরকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে কর্তব্যরত চিকিৎসক।
পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জানান, রমজানের প্রথমদিনে পূর্ব শত্রুতা এবং জমি ও সীমানা বিরোধের জের ধরে দফায় দফায় হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সংঘর্ষে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে বেশ কয়েকজনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
চকরিয়া থানার ওসি মো. জহিরুল ইসলাম খান বলেন, ‘রমজানের প্রথমদিনে কয়েকটি স্থানে জায়গার বিরোধ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনার খবর শুনেছি। পৃথক ঘটনায় এ ব্যাপারে লিখিতভাবে অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

পাঠকের মতামত: