ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় ৩৩ হাজার কেবি বিদ্যুতের লাইন ঘেষে বহুতল ভবন নির্মান, প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা

বশির আলমামুন, চকরিয়া ::

চকরিয়া পৌর এলাকায় ইমারত নির্মান আইন অমান্য করে ও পৌর কতৃপক্কের অনুমোদন বিহীন অপরিকল্পিত বহুতল ভবন নির্মান করেছে দুবাই প্রবাসি এক ব্যক্তি। শুধু তাই নয় এমন কি ভবনটি নির্মান করা হয়েছ ওই জায়গা দিয়ে যাওয়া ৩৩ হাজার কেবি বিদ্যুৎ লাইনের তার ঘেষে। এতে করে ঘটে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা।

গত ২৯ মে ওই ভবনের কাজ করতে গিয়ে জয়নাল আবেদিন(২৩)নামে এক নির্মান শ্রমিক বিদ্যুতের তারে ঝলসে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছে। বর্তমানে সে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে।তার অবস্হা আশংকা জনক বলে জানা গেছে।

সরজমিনে দেখাগেছে চকরিয়া পৌরসভার ২ নং ওর্য়াডের হালকাকারা গ্রামের হাই স্কুল রোডের মাথা (চৌরাস্তার)মোড় ও তিন বটতলা এলাকার মধ্যবর্তী স্হানে উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের খোজাখালি গ্রামের দুবাই প্রবাসি মনকির আলম নামে এক ব্যক্তি ঝুকির মধ্যে এ ভবনটি নির্মান  করেছে। নিয়ম নীতির কোন তােয়াক্কা নাকরে সম্পূর্ণ এক ঘুৃয়েমি ভাবে তিনি ভবন টি নির্মান করেন। তাছাড়া মানাহয়নি ইমারত নির্মান আইন। এমনিকি পৌরকতৃপক্ক ও চকরিয়া বিদ্যুৎ অফিস থেকে অনুমতি ও নেওয়া হয়নি। যে ভাবে ৩৩ হাজার কেবি বিদ্যুৎ লাইনের তার ঘেষে ভবনটি নির্মান করা হয়েছে তাতে ঘটে যাচ্ছে দূর্ঘটনা।

গত ২৯ মে ওই ভবনের নির্মান কাজ করতে গিয়ে অসাবধানতায় বিদ্যুৎ লাইনের তারে লেগে ঝলসে যায় কাকারা গ্রামের নির্মান শ্রমিক জয়নাল আবেদীন রুবেল এর শরীর। অভিযোগ উঠেছে ওই ভবনের কেয়ারটেকার তাকে দিয়ে জোর করে ভবনের বাইরের প্লাস্টার কাজ করাচ্ছিল। এ ব্যাপারে  চকরিয়া আবাসিক বিদ্যুৎ প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান মনকির আলম ভবন নির্মানের সময় কোন ধরনের অনুমতি নেয়নি। সম্পূর্ণ  ঝুকিপূর্ন অবস্হায়  ভবন টি নির্মান করেছে। ফলে  যে কোন মুহুর্তে আরও বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।     

পাঠকের মতামত: