ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

বাজার নিয়ন্ত্রণে লামা পৌরসভার জরুরী সভা

zzzzzমোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ

রোজার আসতেই প্রতিদিন কোন না কোন নিত্যপণ্যের দাম কমবেশি বেড়েই চলেছে। আজ আকাশে চাঁদ দেখা গেলে কাল রমজান। ইতিমধ্যে বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য ও ভোগ্য পণ্যসামগ্রীর দাম বেড়ে আকাশছোঁয়া। রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য ও ভোগ্য পণ্যসামগ্রীর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে, বাজার ঘাট পরিষ্কার, বখাটের উৎপাত বন্ধ, ফরমালিন ও গ্যাস মুক্ত মাছ বিক্রয়, জনসাধারণের নিরাপত্তা, চুরি ডাকাতি বন্ধে ও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য জরুরী সভা করেছে লামা পৌর প্রশাসন।

লামা পৌরসভার মেয়র মোঃ জহিরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, লামা পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোঃ হোসেন বাদশা, লামা থানার উপ-পরিদর্শক জাহেদ নূর, স্যানেটারী ইনেসপেক্টর মাধুবী লতা আসাম, কাউন্সিলর মোঃ রফিক, মোঃ সাইফুদ্দিন, মোঃ ফরিদ উদ্দিন, মোঃ জাকের হোসেন, লামা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রিয়দর্শি বড়–য়া, লামা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম, সরকারী বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, বাজার কমিটির প্রতিনিধি, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন ডিলার গণ।

লামা পৌরসভার মেয়র মোঃ জহিরুল ইসলাম বলেন, রমজানে যে কোন মূল্যে ইফতার, সেহেরী ও তারাবির সময় বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে অনুরোধ করেন। এছাড়া রমজানের সময় ফুটপাতে বসে ব্যবসা পরিচালনা ও স্ব-স্ব দোকানের সামনে ড্রেইন ও আশপাশ সহ লামা পৌর শহর পরিষ্কার রাখতে অনুরোধ করেন। বর্তমানে সকল পণ্যের আমদানি ও মজুদ পর্যাপ্ত রয়েছে। অথচ অসৎ ব্যবসায়ী- মজুদদার সিন্ডিকেটের কারসাজিতে বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে। এমনকি আন্তর্জাতিক বাজারে এখন অনেক নিত্যপণ্যের দর নিম্নমুখী কিংবা স্থিতিশীল।

রোজাকে পুঁজি করে ক্রেতাসাধারণের পকেট কেটে শত শত কোটি টাকা নির্ঘাত হাতিয়ে নেয়া মেনে নেয়া হবেনা। পর্যাপ্ত মজুদ থাকা সত্ত্বেও রোজার মাসে যেসব নিত্য ও ভোগ্যপণ্যের চাহিদা বেশিই হয়ে থাকে যেমন- চিনি, ছোলা, পেঁয়াজ-রসুন, আদা, ডালের মতো অত্যাবশ্যকীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে ক্রমাগতভাবেই। কোথাও নিত্যপণ্য ঘাটতির আলামত চোখে পড়ে না। তা সত্ত্বেও অত্যাবশ্যকীয় নিত্য ও ভোগ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির কাছে এখন ক্রেতারা হার মানতে বাধ্য হচ্ছেন। এছাড়া বিদ্যুৎ বিভাগের উদাসীনতার কড়া সমালোচনা করেন। বিশেষ করে রোজার মাসে গরুর হাড়-মাংস ৪শত টাকা, শুধু মাংস ৪৮০, বয়লার মুরগি ১৫০ টাকা, দেশী মুরগী ৩০০টাকা ও মাছের দাম পার্শ্ববর্তী চকরিয়া শহরের সম-পরিমাণ করতে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

পরিশেষে বলেন, রমজান সংযমের মাস। এই মাসে সকলতে নৈতিকতা রক্ষা করে নিজ নিজ ব্যবসা পরিচালনা করতে অনুরোধ করেন। রমজান আমাদের সকলের জন্য শান্তির বার্তা বয়ে আনুক প্রত্যাশা করে সভার সমাপ্তি করেন।

পাঠকের মতামত: