ঢাকা,শনিবার, ৪ মে ২০২৪

চকরিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতার ভাইকে ডেকে নিয়ে হত্যার চেষ্টা সন্ত্রাসীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
কক্সবাজারের চকরিয়ায় মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে আবুল কালাম আবু (৪২) নামের স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে দুই চোখ উপড়ে ফেলে হত্যাচেষ্টা চালিয়ছে দুবৃর্ত্তরা। গতকাল সোমবার সকালে তার মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে রাস্তার পাশে মৎস্য খামারের পরিত্যক্ত একটি বাড়িতে ফেলে দেওয়া হয়। পরে স্থানীয় লোকজন আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে অবস্থা অবনতি হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

আহত আবুল কালাম আবু চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের নয়াপাড়া এলাকার আবুল খালেকের ছেলে এবং সাহারবিল ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক মহসিন বাবুলের ছোট ভাই।

আহতের ছোট ভাই হোসাইন মোঃ বুলবুল জানান, রোববার রাতে ফোন করে আমার ভাই আবুল কালাম আবুকে কেউ একজন ফোন করে ডেকে নিয়ে একটি মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নিয়ে রাতভর আটকে রেখে নির্যাতন করে। পরে স্কচটেপ দিয়ে চোখমুখ বন্ধ রেখে ছুরিকাঘাত করে দুই চোখ উপড়ে ফেলে এবং হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে সর্বশরীর গুরুতর আহত করে সড়কের পাশে ফেলে যায়।

সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমার ভাই আবুল কালামসহ পরিবারের সকলেই কক্সবাজার ১ আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অবঃ) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের হাত ঘড়ি প্রতীকের পক্ষে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলমের ট্রাক প্রতিকের বিপক্ষে ভোট করেন। এরসূত্র ধরে ট্রাকের পক্ষে নেতৃত্ব দেয়া সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান নবী হোসেনের নির্দেশে ভাড়াটে দুবৃর্ত্তরা পরিকল্পিত ভাবে আমার ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্য এ ঘটনা সংগঠিত করেছে বলে আমাদের বদ্ধমুল ধারণা।

কারণ গত ২০-২৫দিন আগেও সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নবী হোছাইন চৌধুরী এলাকায় এসে আমার ভাইকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে যায়। এমনকি তাঁর লোকজন আমার বাড়িতে ঢুকে হামলা তাণ্ডবও চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন আহতের ছোট ভাই হোছাইন মোহাম্মদ বুলবুল।

স্থানীয় লোকজন জানান, গতকাল সোমবার সকাল ৭টার দিকে খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গিয়ে চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়ন ও পূর্ববড়ভেওলা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী আটারকুম নামক এলাকার সড়কের পাশে পরিত্যক্ত স্থান থেকে গুরুতর আহতাবস্থায় আবুল কালামকে উদ্ধার করে উপজেলা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে শাররীক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় লিখিত এজাহার দিলে মামলা রুজু করা হবে। এঘটনায় যারাই জড়িত থাকুকনা কেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাঠকের মতামত: