ঢাকা,শনিবার, ৪ মে ২০২৪

বদরখালী চ্যানেলে প্যারাবন নিধনকালে প্রশাসনের অভিযানে রক্ষা পেল ১০ একর প্যারাভুমি

মনির আহমদ, কক্সবাজার : মহেশখালী-বদরখালী ব্রীজের দক্ষিণ পাশে মহেশখালী চ্যানেলে বিশাল প্যারাবন কেটে নদীর চর দখল করে চিংড়ী জমি তৈরীর সময় অভিযান চালিয়েছে বনবিভাগ ও প্রশাসন।  আজ শনিবার সকালে এ অভিযান চালানো হয়।

বনবিভাগ সুত্র জানায়, মহেশখালী-বদরখালী ব্রীজের দক্ষিণ পাশে মহেশখালী চ্যানেলের বদরখালী অংশে শতাধিক শ্রমিক দিয়ে প্যারাবন কেটে চিংড়ী ঘের নির্মাণের জন্য বাঁধ তৈরী করছিল ছনুয়াপাড়া সমিতির সভাপতি জাফর উল্লাহর নেতৃত্বে একদল বনভুমিদস্যু। খবর পেয়ে উপকুলীয় বনবিভাগের দ্বায়িত্বরত বনরেঞ্জার মেহেরাজ উদ্দিনের আহ্বানে বনকর্মি ও থানা পুলিশের সহায়তায় অভিযান চালায় চকরিয়া ভ্রম্যমান আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভুমি রাহাত উজ্জামান।

প্রশাসন আসার খবর পেয়ে প্যারাবন নিধনকারীরা পালিয়ে গেলেও বননিধনযজ্ঞের বেশ কিছু আলামত ও তথ্য সংগ্রহ করেন প্রশাসন।

বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন জানান, ছনুয়ারা পাড়া সমিতি ঘোনার বাহিরে কে বা কারা প্যরাবন কেটেছে আদৌ তিনি জানেন না। প্রশাসনের লোকজন আসার পর তিনি বিষয়টি জানতে পেরেছেন। তিনি ও সংশ্লিষ্ট বনদস্যুদের বিরোদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।

উপকুলীয় বনবিভাগের দ্বায়িত্বরত বনরেঞ্জার মেহেরাজ উদ্দিন, চকরিয়া ভ্রম্যমান আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভুমি রাহাত উজ্জামান সাহেবের তাৎক্ষনিক পদক্ষেপে অন্ততঃ ১০ একর প্যারাবন রক্ষা পেয়েছে।

তিনি, প্যারাবন ও নদী রক্ষায় সকল পরিবেশবাদী সংগঠন , সাংবাদিক , পরিবেশ অধিদপ্তর , সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এবং এলাকার সুশীল সমাজের লোকজনকে এগিয়ে আসার আহবান জানান এবং সংঘটিত প্যরাবন কাটার ঘটনায় জড়িতদের বিরোদ্ধে যথাযত আইনগত ব্যবস্থার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান।

পাঠকের মতামত: