ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

চকরিয়ায় দু শতাধিক অবৈধ ভাসমান দোকান উচ্ছেদ : ১৩জনকে আটক হলেও পুনরায় বসে গেছে হকাররা

13394126_288679721466828_7991456397712225228_nচকরিয়া অফিস:

চকরিয়া পৌরশহরের মহাসড়কের অবৈধভাবে ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করার অপরাধে দু শতাধিক বিভিন্ন ধরনের ভাসমান দোকান উচ্ছেদ করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। আজ  ৫মে সকাল দশটা থেকে বিকাল দুইটা পর্যন্ত পৌরশহরের চিরিঙ্গা বাসষ্টেশনে এবং সোসাইটিতে এসব অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করেছে । চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো: সাহেদুল ইসলামের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। এসময় বিভিন্ন অপরাধে ১৩জন ব্যবসায়ি ও গাড়ির চালককে গ্রেফতার করেছে।

জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলার পৌরশহর চিরিঙ্গায় কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের-ফুটপাত দখল করে টং দোকান করে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছে শতশত লোক। এসব দোকান থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করছে স্থানীয় ফল ব্যবসায়ী সমিতি ও হকার্স সমিতির প্রভাবশালী মহল ও চকরিয়া পৌরসভার কিছু অসাধু কর্মকর্তা। তাদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব ফুটপাত দখল হয়ে থাকায় পথচারীদের চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হতো। অবশেষে স্থানীয় জনসাধারণের অনুরোধে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এই উচ্ছেদ অভিযানে অর্ধশতাধিক শ্রমিক নিয়ে পৌরশহরের দু শতাধিক কাপড় ও ফলের ভাসমান দোকান উচ্ছেদ করা হয়। সড়কের ওপর অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিং করার দায়ে দুইটি গাড়ি আটক করেছে। এসময় ১৩জন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে ভাম্যমান পুলিশ। আটককৃতদের বিভিন্ন মেয়াদের সাজা দিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো: সাহেদুল ইসলাম ও চকরিয়া থানার ওসি জহিরুল ইসলাম খান ও পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীর পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্ত সংখ্যক সদস্য উপস্থিত ছিলেন। তবে ভ্রাম্যমান উচ্ছেদ অভিযান শেষ করে অফিসাররা চলে যাওয়ার পর পরই পুনরায় অনেক ফলের দোকান বসে গেছে এবং প্রতিদিনের ন্যায় ফল ব্যবসায়ী সমিতির লোকজনকে যথারীতি প্রতিটি দোকান থেকে চাদাঁ আদায় করতে দেখা গেছে।

পাঠকের মতামত: