ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

টেকনাফ স্থলবন্দরে রাজস্ব আদায়ে বড় ধরনের ধস

teknaf-land-pict  2.6.2016-2এম.শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার, ২ জুন ॥

কক্সবাজারের টেকনাফ স্থল বন্দর দিয়ে আমদানি ও রপ্তানীতে রাজস্ব ধস নেমেছে। গত মে মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ কোটি ১৪ লাখ ৬৮ হাজার ৫৩২ টাকার কম রাজস্ব আদায় হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক স্থলবন্দরে মে মাসে ৭ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। কিন্ত মোট ৬ কোটি ১৫ লাখ ৩১ হাজার ৪৬৮ টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে।

তবে বন্দর কর্তৃপক্ষের অবাধ দুর্নীতির কারণে এ পরিস্থি হচ্ছে বলে স্থানীয় ব্যবসায়িরা দাবী করলেও মিয়ানমার থেকে পণ্য আমদানি কম হওয়ায় মে মাসে রাজস্ব আদায় হ্রাস পেয়েছে বলে দাবী বন্দর কর্তৃপক্ষের।

শুল্ক বিভাগ সূত্র জানায়, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে মে মাসে ২২১টি বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে ৬ কোটি ১৫ লাখ ৩১ হাজার ৪৬৮ টাকার রাজস্ব আদায় হয়। গত মে মাসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক ৭ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা মাসিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ কোটি ১৪ লাখ ৬৮ হাজার ৫৩২ টাকার কম রাজস্ব আদায় হয়েছে। বন্দরে কর্মরত কিছু কর্মচারী দুর্নীতির মাধ্যমে বিল অব এন্ট্রি কম দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা লুপাট করছে।

খোজ নিয়ে জানা যায়, টেকনাফ স্থল বন্দর দিয়ে ২৫টি আমদানি পণ্যের মধ্যে মাত্র ৮টি আমদানিপণ্য চালু আছে। এর মধ্যে বনজদ্রব্য কাট আমদানি নিয়মিত হলেও বাকি আটটি পণ্য আঁচার , শুটকী, মাছ, বাঁশ, আমদানি অনিয়মিত। এছাড়া রপ্তানীতে শুধু চুল, বিস্কিট, সিমেন্ট, টিউবওয়েল ও ট্যাংকী ছাড়া অন্য কোন পণ্য রপ্তানী হচ্ছে না।

টেকনাফ সিএন্ডএফ এসোসিয়শনের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর জানান, আমদানীকারকরা স্থল বন্দরে ব্যবসা লোকসান দেখে তারা মিয়ানমারের রাজধানী ইয়াঙ্গুন হয়ে সাগর পথে সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাস করে। ফলে স্থল বন্দরে স্বল্প মূল্যের আমদানী পণ্য নিয়ে আসছে। তাই স্থল বন্দরকে গতিশীল করতে হলে বাংলাদেশ মিয়ানমার পর্যায়ে এলসি ব্যবস্থা ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই। তা না হলে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা এ বন্দর থেকে মূখ ফিরিয়ে নিবে।

টেকনাফ স্থলবন্দর শুল্ক কর্মকর্তা নু-চ-প্র মার্মা দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, গত এপ্রিল মাসে শুস্ক মৌসুম এবং মিয়ানমারে জলকেলি উৎসব থাকায় রাজস্ব আদায় হ্রাস পেয়েছে। সামনে বর্ষা মৌসুমে আরও হ্রাস পাবে। তাই আমদানি-রপ্তানীর বৃদ্ধিতে সীমান্ত বাণিজ্য ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।

পাঠকের মতামত: