ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় হাসপাতালে ভাংচুর ও পরিচালকের ওপর হামলার ঘটনায় ১০জনের বিরুদ্ধে মামলা

indexএম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :::
চকরিয়া উপজেলার বেসরকারী চিকিৎসা প্রতিষ্টান জমজম হাসপাতালে ভাংচুর ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম কবিরের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনায় চকরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার হাসপাতালের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিয়াজ মোহাম্মদ রফিক ছিদ্দিকী বাদি হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৫-৬জনকে আসামী দেখিয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারনামীয় আসামীরা হলেন, চকরিয়া পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের ষ্টেশনপাড়ার মৃত আবদুল করিমের ছেলে মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম (জেনারেটর রফিক) তার ভাই ইদ্রিছ আহমদ, একই এলাকার আবদুল মোনাফের ছেলে আবদুল আজিজ ও আলমগীর।
অভিযোগে জানা গেছে, শুক্রবার বিকালে মামলার অভিযুক্ত প্রধান আসামী রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ৮-৯জন সশস্ত্র দূর্বৃত্ত চকরিয়া জমজম হাসপাতালে গিয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম কবিরের কক্ষে ঢুকে হাসপাতালে ভর্তিকৃত একজন রোগীর বিলের ফাইল নিয়ে ডিসকাউন্ট দাবী করেন। ওইসময় এমডি গোলাম কবির রোগীকে সাধ্যমতো ডিসকাউন্ট দিলেও তাঁরা জোরপূর্বক আরো বেশি ডিসকাউন্ট দাবী করেন। এতে তিনি অপরাগত প্রকাশ করলে দুর্বৃত্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে তার কক্ষের দরজা বন্ধ করে ছুরি, লোহার রড, হাতুড়ি ও হকিষ্টিক দিয়ে গোলাম কবিরকে বেড়ধক পিটিয়ে ও মাথায় আঘাত করেন।
মামলার আর্জিতে দাবি করা হয়েছে, হামলার সময় এমডির অফিসের কক্ষের ভেতর চেয়ার-টেবিল ও আসবাবপত্র ভাঙচুর ও টেবিলের ড্রয়ার থেকে নগদ ২লাখ ৮৫হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনার পরপর হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারীরা এগিয়ে এসে আহত এমডি গোলাম কবিরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে হাসপাতালের এমডি গোলাম কবিরের ওপর হামলার প্রতিবাদে এবং ঘটনায় জড়িতদের অভিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে শনিবার দিনব্যাপী হাসপাতালের পরিচালক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন করেন।

পাঠকের মতামত: