ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

স্বামীকে না পেয়ে ২ সন্তানসহ স্ত্রীকে গ্রেপ্তার : এসআই প্রত্যাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক ::
কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে স্বামীকে না পেয়ে দুই শিশুসহ স্ত্রীকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় এক এসআইকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে গিয়াস উদ্দিন নামের ঈদগাঁও থানার ওই এসআইকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে নিয়ে আসা হয়েছে বলে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম

জানান। পুলিশ সুপার আরও জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হওয়া দুই শিশুসহ নারীকে থানা হাজতে রাখার বিষয়টি নজরে এসেছে। ওই নারী ফরিদা ইয়াসমিন ঈদগাঁও উপজেলার পূর্ব ফরাজীপাড়া এলাকার প্রয়াত নজির আহমেদের ছেলে শাহজাহানের স্ত্রী। খবর বিডিনিউজের।

পুলিশ সুপার জানান, একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ফরিদা ইয়াসমিনকে গ্রেপ্তারে আইনগত কোনো জটিলতা ছিল না। তবে দুই শিশু সন্তানসহ এ নারীকে থানায় এনে হাজতে রাখা এবং আদালতে পাঠানোর বিষয়টি পুলিশের প্রবিধান মতে হয়নি। বুধবার পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে ঘটনার

তদন্তের পর বৃহস্পতিবার সকালে এসআই গিয়াস উদ্দিনকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশের বিধান মতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

এদিকে, এ ঘটনায় ঈদগাঁও থানার ওসি মো. গোলাম কবিরের প্রত্যাহার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে সাধারণ মানুষ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কের ঈদগাঁও স্টেশনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনের পর এক প্রতিবাদ সভা হয়। সেখানে বক্তব্য দেন ঈদগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদ, জেলা যুবলীগ নেতা হুমায়ুন কবির চৌধুরী হিমু, সদর উপজেলা যুবলীগ নেতা মিজানুল হক এবং ওই নারী ফরিদা ইয়াসমিন। ইউপি চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদ জানান, সোমবার উপজেলার পূর্ব ফরাজীপাড়া এলাকায় নলকূপের

পানি চলাচল নিয়ে প্রয়াত নজির আহমেদের ছেলে শাহজাহানের সঙ্গে প্রয়াত আবু শামার ছেলে হারুন অর রশীদের বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় শাহাজাহান নখ কাটার যন্ত্র দিয়ে হারুনকে আঘাত করেন। এতে হারুণ আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে ঈদগাঁও থানার

এসআই গিয়াস উদ্দিন একদল পুলিশসহ শাহাজাহানের বাড়িতে অভিযান চালান। এ সময় শাহাজাহানকে না পেয়ে তার স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিনসহ তার দুগ্ধজাত এবং দুই বছর বয়সী শিশুদের থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে হারুন অর রশীদের স্বজনদের থানায় ডেকে নিয়ে নাটকীয় কায়দায় মামলা রেকর্ড করে আদালতে সোপর্দ করা হয় বলে চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদ জানান। বুধবার আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করে।

পাঠকের মতামত: