ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

চট্টগ্রামস্থ চকরিয়া সমিতির সাবেক সভাপতির উদোগে গরীব মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ

এম জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::
শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে প্রায় ছয়মাসের বেশি সময় শয্যাশায়ী ছিলেন কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার আওয়ামী রাজনীতিতে পরিচ্ছন্ন ও জনবান্ধব রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত মুখ চকরিয়া উপজেলার পহর চাঁদা ফাজিল মাদরাসা কমিটির সভাপতি লায়ন আলহাজ্ব কমরউদ্দিন আহমদ। এরইমধ্যে তিনি দীর্ঘ সময় ভারতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি সম্প্রতি সময়ে শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতি হলে দেশে ফিরেই আগের মতো জনগণের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন।
এরই অংশ হিসেবে চট্টগ্রামস্থ চকরিয়া সমিতির তিনবারের সভাপতি ও কক্সবাজার জেলা পরিষদের সাবেক সফল সদস্য লায়ন আলহাজ্ব কমরউদ্দিন আহমদ এর ব্যক্তিগত তহবিলের অর্থায়নে চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের নিজ এলাকার তিনশতাধিক হতদরিদ্র পরিবারের নারী-পুরুষের মাঝে শীতের কম্বল বিতরণ করেছেন।
শুক্রবার ২৭ জানুয়ারি নিজ বাসভবনে উপস্থিত থেকে লায়ন কমরউদ্দিন আহমদ বরইতলী ইউনিয়ন ও আশপাশের এলাকার গরীব মানুষের হাতে শীতের কম্বল তুলে দেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন তার সহধর্মিণী চট্টগ্রাম উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চকরিয়া উপজেলার পহরচাদা উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ এর সভাপতি সৈয়দা রিফাত আক্তার, আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম উল্লাহ বাহাদুর, বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়াজুল ইসলাম বাদল, স্থানীয় ইউপি মেম্বার আবদু শুক্কুর, বরইতলী ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক আইয়ুব খান মিন্টু ছাড়াও এলাকার সম্মানিত নাগরিকবৃন্দ।

কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কমিটির বন ও পরিবেশ সম্পাদক লায়ন কমরউদ্দিন আহমদ বলেন, আমি দীর্ঘদিন শারীরিক ভাবে অসুস্থ ছিলাম। মহান রাব্বুল আলামিনের রহমতে আমি এখন সুস্থতা অনুভব করছি। যতদিন হাসপাতাল কেবিনে ছিলাম, ততদিনে এলাকার গরীব মানুষের জন্য চিন্তা করেছি। কারণে আমার রাজনীতি জনগণের জন্য, এলাকার উন্নয়নের জন্য।

তিনি বলেন, কক্সবাজার জেলা পরিষদের সদস্য থাকাকালে আমি জনগণের কল্যাণ এলাকার উন্নয়নে এবং মসজিদ মাদরাসা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে সম্ভব সবধরনের সহযোগিতা করেছি। জনগণের দুর্দিনে পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। আমার এলাকার সর্বসাধারণ ও দলের সকলস্থরের নেতাকর্মী আমাকে ভালোবাসেন। তাদের দোয়া ও ভালোবাসা আমাকে সুস্থতা দান করেছে।

আমি মনে করি হতদরিদ্র পরিবারের মানুষের জন্য কিছু করলে নিশ্চয় মহান রাব্বুল আলামীন খুশি। তাই শারীরিক ভাবে কিছুটা সুস্থতা অনুভব করায় এলাকার মানুষের পাশে ছুটে এসেছি। তাদের জন্য মানবিক কাজের অংশ হিসেবে শীতের কম্বল দিয়েছি। ইনশাআল্লাহ মহান আল্লাহ সহায় থাকলে আমৃত্যু জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাবো।

পাঠকের মতামত: