ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

পথচারীদের ভোগান্তি চরমে

হকারের দখলে চকরিয়া পৌরশহরের ফুটপাত

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: কক্সবাজারের প্রবেশদ্বার চকরিয়া পৌরশহরে ফুটপাত দখল করে রাখে ভ্রাম্যমাণ হকাররা। এছাড়াও স্থানীয় দখলদারেরা সড়কের দু-পাশের ফুটপাতের জায়গা দখলের চেষ্টা করছেন। এতে মহাসড়কে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট, ভোগান্তিতে পড়ছে পথচারীরা। প্রতিদিন ঘটছে ছোট ছোট দুর্ঘটনা ও চুরি-ছিনতাই। পৌরসভার বিভিন্ন মার্কেটের সামনে ও ব্যস্ততম সড়কের ওপর বসা এই হকারদের উচ্ছেদে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।

চকরিয়া পৌরশহরের মধ্যে পুরাতন বাস স্টেশন, জনতা শপিং, আনোয়ার শপিং কমপ্লেক্স, নিউ মার্কেট, হাশেম মার্কেট, সিটি কমপ্লেক্স, চকরিয়া  শপিং, কাজী মার্কেট, বাবুল শপিং, হোসেন মার্কেট, সমিতি মার্কেটের সামনে সহ মহাসড়ক সংলগ্ন ফুটফাট, বালিকা উচ্চবিদ্যালয় সড়ক, ওয়াপদা সড়ক, নিউ সুপার মার্কেটের ফুটপাতগুলো হকারদের দখলে বেশি থাকে। সড়কের মাঝখানে এসব হকাররা একটি ভ্রাম্যমাণ ভ্যান নিয়ে শার্ট, প্যান্ট, গেন্জি, বিভিন্ন প্রকারের ফল, শাক-সবজি ও খাদ্য সামগ্রীসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র বিক্রি করছে হকাররা।

চকরিয়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রেজাউল হক সাওদাগর জানান, হকারদের সকালে উচ্ছেদ করলে বিকালে আবার বসে যায়। ওদেরকে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। এটি উপজেলা প্রশাসনকেই ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা অনেক চেষ্টা করছি।

এ বিষয়ে ওয়াপদা রোড় এলাকার ব্যবসায়ী ও যুবলীগ নেতা আজিজুল হক জানান, এখানে যেসব হকার রয়েছে, এদের কাছ থেকে পৌরসভা-ফল বাবসায়ী ও পুলিশের নামে নিয়মিত চাঁদা আদায় করছে কিছু লোকেরা। পাশাপাশি যে দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ব্যবসা করবে, সেসব দোকানদারও নিয়মিত চাঁদা আদায় করছেন হকারদের কাছ থেকে। যে কারণে ফুটপাতে হকার ব্যবসায়ীদের আনাগোনা একটু বেড়ে গেছে। বর্তমানে ওয়াপদা সড়ক, কাঁচাবাজার সড়কে অতিরিক্ত হারে হকার দেখা যায়। প্রশাসন মাঝে-মধ্যে একটু নজরদারি করলেও আবার এসব হকার জড়ো হয় ফুটপাতে। জনসাধারণের চলাচলের জন্য রাস্তা হকারমুক্ত রাখার অনুরোধ জানান পৌরসভার সচেতন মহল।

সোহেল রানা নামে এক পথচারী বলেন, সড়কে অতিমাত্রায় হকার বেড়েছে। আমরা পথচারীরা কম মূল্যে বিভিন্ন জিনিসপত্র ক্রয় করার জন্য এই হকারদের ঘিরে দাঁড়িয়ে থাকি। যে কারণে আরো বেশি জটলা সৃষ্টি হয়।

তিনি আরও বলেন, মাঝে-মধ্যে চকরিয়া পৌরসভা সদর থেকে এসব অবৈধ ফুটপাত দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে প্রশাসন। কিন্তু আবার কয়েক দিন পর আগের মতো ফুটপাত নিয়ন্ত্রণ করে নেয় এসব হকার। মূলত তাদের পাশে রয়েছে একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট, যাদের ছত্রছায়ায় এসব ফুটপাত দখল করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আরো যানজট তৈরি হবে। নগরীর সৈান্দর্য কমে যাবে। এছাড়াও এদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে বাড়তে পারে চুরি-ছিনতাই সহ বিভিণ্ন অপরাধ কর্মকান্ড।

মিলন নামে এক হকার বলেন, পেটের দায়ে হকারি করছি। প্রতিদিন কত টাকা দিয়ে এখানে ব্যবসা করি সব কথা বলা যাবে না। তাছাড়া ফ্রিতে তো কেউ ব্যবসা করতে দেয় না।

পাঠকের মতামত: