ঢাকা,বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

জেলায় সাইক্লোন সেল্টার গুলো অবৈধ দখলে

001845asroy-fচকরিয়া নিউজ ডেস্ক ::

উপকুলের সাইক্লোন সেল্টার গুলো অবৈধ দখলে থাকায় এবং ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নিচু এলাকায় বসবাসরত লোকজনকে। বর্তমানে ৫৩৪টি সাইক্লোন সেল্টারের মধ্যে অধিকাংশই অবৈধ দখলে। উপকূলীয় এলাকায় সাইক্লোন সেল্টার দখল করে কেউ গড়ে তুলেছেন বসতি কেউ করেছেন গোয়াল ঘর। যার ফলে আশ্রয় স্থান না পেয়ে অনেকেই ভিন্ন এলকায় আশ্রয় নিয়েছেন।
ধলঘাটা থেকে আগত নুরুল কবির জানিয়েছেন বঙ্গোপসাগরের তোপের মুখে পন্ডিতের ডেইল গ্রাম। এখানে রয়েছে একটি মাত্র সাইক্লোন সেল্টার। গ্রামের এক হাজার মানুষের জন্য এটি অপ্রতুল্য হলেও এটিও ব্যবহার করতে পারছেন না গ্রামবাসীরা। বর্তমানে এই সাইক্লোন সেল্টারটি দুইজনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে। যার ফলে সাধারণ মানুষ সাইক্লোন সেল্টারে উঠতে না পেরে কালারমারছড়া চলে আসতে বাধ্য হচ্ছে।
কুতুবদিয়ার আলী আকবর ডেইলের আবদুল হাকিম জানান, কোন দূর্যোগ আসলে কোন আশ্রয় স্থলে যাওয়া যায় না। এই ইউনিয়নে যে আশ্রয় স্থল রয়েছে তার অধিকাংশই দখল করে রেখেছে। অনেকেই এটিকে পারিবারিক সম্পত্তি হিসাবে ব্যবহার করে থাকে। যার ফলে সাধারণ মানুষ সাইক্লোন সেল্টারগুলোতে আসতে চায় না। বর্তমানে আলী আকবর ডেইলের অধিকাংশ মানুষ বড়ঘোপের উচু এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায় কক্সবাজারের উপকুলীয় এলাকায় ৫৩৪ টি সাইক্লোন সেল্টার থাকলেও সরকারি হিসাবে মাত্র ১৮টি সাইক্লোন সেল্টার ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ার পরিতক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। দুর্যোগ সময়ের জন্য নির্মিত চকরিয়ায় কয়েকটি  সেন্টারে আগে থেকে তালা রাগিয়ে দেওয়ায় হাজার হাজার লোকজন সাইক্লোন সেল্টারে আশ্রয় নিতে পারেনি।
তৎমধ্যে মহেশখালীতে রয়েছে ১২৩ টি সাইক্লোন সেল্টার। বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে ১২৩টির মধ্যে ৩৯টি এখন পরিতক্ত। ভয়ে ওই সাইক্লোন সেল্টারের পাশেও কেউ যায় না। ব্যবহার উপযোগী ৮৬টির মধ্যে অর্ধেকেরও বেশী বিভিন্ন মানুষের গোয়াল ঘর। স্থানীয় লোকজন প্রশাসনকে বার বার বিষয়টি অবহিত করলেও সাইক্লোন সেল্টারগুলো দখলমুক্ত হয়নি।
এ ব্যাপারে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন জানান, বিষয়টি খুব দ্রুততার সাথে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাঠকের মতামত: