ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

রেজাউল হত্যা: গ্রেফতার শিবির নেতার মৃত্যু

image_156090_0রাজশাহী প্রতিনিধি ::

রাজশাহী : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যা মামলায়  গ্রেফতার ছাত্রশিবির নেতা হাফিজুর রহমান মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে রাজশাহী  মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

হাফিজুর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও নগরীর ১৯নং ওয়ার্ড ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি ছিলেন। তার লাশ বর্তমানে হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

সিনিয়র জেল সুপার বলেন, শিবির নেতা হাফিজুর রহমান আগে থেকেই রক্তস্বল্পতা রোগে আক্রান্ত ছিলেন। কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ১৭ মে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপতালে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি হাসপাতালের প্রিজনসেলে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

বৃহস্পতিবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে নলে জানান তিনি।

এদিকে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মহানগর ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউস সাদিক জানান, গত ২৮ এপ্রিল দুপুরে আটক হাফিজুর রহমানকে অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যা মামলায় গ্রেফতার  দেখিয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (১) হাজির করা হয়।

এ সময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। পরে শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মোকসেদা আজগর তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। চারদিন ডিবি কার্যালয়ে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল বলে জানান তিনি।

অন্যদিকে, গত মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. শামসুদ্দিন বলেন, ‘জেএমবি সদস্যরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড.এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকীক কুপিয়ে হত্যা করেছে।

উল্লেখ্য, গত ২৩ এপ্রিল সকাল সাড়ে সাতটার দিকে নগরীর শালবাগান এলাকায় নিজ বাসার সামনে থেকে মাত্র ১০০ গজ দূরে রাবির ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে কুপিয়ে হত্যা করে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা।

এ ঘটনায় বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের ছেলে রিয়াসাত ইমতিয়াজ সৌরভ বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারীদের আসামি করা হয়।

পাঠকের মতামত: