ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

যারাই দলের সঙ্গে বেঈমানী করে রাতারাতি কোটিপতি বনেছে তারা খন্দকার মোশতাকের অনুসারী হিসেবে ষড়যন্ত্রে মেতেছে -চেয়ারম্যান জাফর আলম

ৃৃুারএম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :::

চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে মঙ্গলবার বিকালে পালিত হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য উত্তরসূরী ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। উপজেলা পরিষদের ভরামুহুরীস্থ উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে অনুষ্টিত হয় আলোচনা সভা। একই সাথে আয়োজন করা হয় উপজেলা আওয়ামীলীগের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে জরুরী সভা। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ জাফর আলম এমএ’র সভাপতিত্বে অনুষ্টিত দুটি সভা পরিচালনা করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কাকারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শওকত ওসমান।

সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম, ডুলাহাজারা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জামাল হোছাইন, বরইতলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মাষ্টার বেলাল উদ্দিন, হারবাং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও হারবাং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম মিরান, লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বাঙালী কল্যাণ ট্রাষ্টের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম সেলিম, কৈয়ারবিল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন হানু, খুটাখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বেলাল উদ্দিন, বমু বিলছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হাছানুল হক চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক নুরুল আমিন। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম চৌধুরী, বিএমচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান বদিউল আলম, হারবাং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেহরাজ উদ্দিন মিরাজ, বরইতলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ডা.নুরুল আলম, চকরিয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাউছার উদ্দিন কছির, কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মক্কী ইকবাল হোসেন, বমু বিলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন, খুটাখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বাহাদুর হক, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রাসেল ও শফিউল আজম, সহ-সম্পাদক ওসমান গণি, সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান, মহিবুল ইসলাম, জাবেদ হোসেন পুতুল, সাংগঠনিক সম্পাদক রেফায়েত সিকদার, ফরহাদ হোসেন পার্কেল, মো. আলমগীর, উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নেতা তারেকুল ইসলাম রাহিত ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বাবলু প্রমূখ।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদেরকে একটি স্বাধীন দেশ দিয়েছেন। তিনি ছিলেন বলেই তার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। কিন্তু ৭৫ সালের পনের আগষ্ট স্বপরিবারে জাতির পিতাকে হত্যার পর সেইদিন ঘাতকরা তার সুযোগ্য উত্তরসুরী শেখ হাসিনাকে দেশে আসতে দেয়নি। তবে ১৯৮১ সালে এই দিনে সকল বাঁধা-বিপত্তি অতিক্রম করে বাংলার মাটিতে গনমানুষের কাছে ফিরে এসেছিলেন দেশরত্ম শেখ হাসিনা।

উপজেলা আওয়ামীলীগের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জোরালো বক্তব্য রাখেন অনুষ্টিত জরুরী সভায়। তারা বলেন, জামায়াত নেতা যুদ্ধাপরাধী দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর রায়কে কেন্দ্র করে চকরিয়ার রাজপথ যখন বিএনপি-জামায়াতের দখলে ছিল, তখন আওয়ামীলীগের কোন নেতাকে রাজপথে খুঁেজ পাওয়া যায়নি। অনেকে আত্মগোপনে ছিলেন। কিন্তু ঠিক ওইসময় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চকরিয়া-পেকুয়ার মানুষের আস্থার ঠিকানা জাফর আলমের নেতৃত্বে সেইদিন থেকে চকরিয়ার রাজপথে বলিষ্ট ভুমিকা রাখেন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। বক্তারা বলেন, এখন যখন রাজপথে সেই জ্বালাও-পোড়াও নেই তখনই দলের ভেতর ঘাপটি মেরে থাকা খন্দকার মোশতাকের অনুসারীরা আবারো আওয়ামীলীগের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করতে উঠেপড়ে লেগেছে। আওয়ামীলীগের অতীত এবং বর্তমান সাংগঠনিক দক্ষতা বিবেচনা করে খন্দকার মোশতাকের অনুসারী এসব চক্রান্তকারীকে চিহ্নিত করে উপযুক্ত জবাব দিতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাফর আলম বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে আওয়ামীলীগের নাম ভাঙিয়ে কোন অপকর্ম করিনি। যারা দলের সঙ্গে বেঈমানী এবং বন-পাহাড় উজাড় করে রাতারাতি কোটিপতি বনেছেন, তারাই আজকে খন্দকার মোশতাকের অনুসারী হিসেবে দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। হঠাৎ করে উচ্চাভিলাষী হয়েছেন। নতুন নতুন স্বপ্ন দেখতেও শুরু করেছে। সেইদিন বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিনের গুলির মুখ থেকে জীবনবাজি রেখে আমি গিয়াস উদ্দিনকে উদ্ধার করেই চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছিলাম। শুধুমাত্র তাকে ছোট ভাইয়ের মতো জানি বলে। কিন্তু এখন সেই গিয়াস উদ্দিন আমাকে বাদ দিয়ে সভা করে। আমি সাধারণ মানুষের কাতারে থেকে আওয়ামীলীগের একজন কর্মী হিসেবে থাকতে চাই আজীবন। ইতিমধ্যে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের তিনবছরের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তাই আমিও চাই নতুন করে কাউন্সিল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব উঠে আসুক।

পাঠকের মতামত: