ঢাকা,বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় আওয়ামীলীগের মেজবানে আ.লীগের হামলা-ভাংচুর, পুকুরে ভাত-মাংস

hamla__1নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নিরব দ্বন্দ্ব-কলহ প্রকাশ্যে রুপ নিয়েছে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ঘিরে নেতাকর্মীরা দুভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এক গ্রুপের আয়োজন করা মেজবানে হামলা চালিয়েছে অন্য গ্রুপ। ডেকসি, চেয়ার, সামিয়ানা কেটে ও গুঁড়িয়ে এবং ভাত-মাংস পুকুরে ফেলে দিয়ে ভন্ডুল করে দেয়া হয় মেজবান ও পরামর্শ বৈঠক।

সোমবার বেলা ১২টার দিকে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। বড় ধরনের সংঘর্ষের আশংকা করছেন অনেকে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী বেশ কিছু নেতাকর্মী শাহ ওমর (রঃ) মাজারে খানাপিনা ও পরামর্শ বৈঠকের আয়োজন করে। রান্না চলাকালে হঠাৎ হামলা চালায় ২০-২৫জন সশস্ত্র ব্যক্তি। হামলাকারীরা প্রকাশ্যে লাঠিসোটাসহ বিভিন্ন অস্ত্র হাতে নিয়ে বাঁশি বাজিয়ে চকরিয়া পৌরশহরের উপর দিয়ে মাজারে হামলা করতে যায়। মোটর সাইকেলের বহরের পেছনে খোদ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাফর আলমও ছিলেন। এতে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মাজারে হামলায় ভাংচুর ছাড়াও নেজাম উদ্দিনসহ ৪-৫ জন কমবেশী আহত হয়ে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়।

চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ইউপি নির্বাচনোত্তর আওয়ামী লীগের ভবিষ্যত করণীয় নিয়ে নেতাকর্মীরা পরামর্শ বৈঠক আহবান করে আজ ১৬ মে। কাকারাস্থ শাহ ওমর (রঃ) মাজার প্রাঙ্গণে বৈঠকের পাশাপাশি খানাপিনার আয়োজন করা হয়। কিন্তু ওই বৈঠকে হামলা চালানোয় সবকিছু ভন্ডুল হয়ে যায়।

তিনি এক পর্যায়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চকরিয়ার আওয়ামীলীগ এখন অস্ত্রবাজদের হাতে জিন্মি হয়ে পড়েছে। তাদের নেতৃত্ব দিয়ে পরিবেশ অশান্ত করে তুলেছে জাফর আলম। এতে সুষ্ঠু ধারার রাজনীতি বিলুপ্ত হয়ে পড়ছে।

এ ব্যাপারে জানতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে তার পক্ষ হয়ে নাম না প্রকাশের শর্তে কয়েকজন বলেন, দুঃসময়ে আওয়ামী লীগের হাল ধরা জাফর আলমকে কোনঠাসা করতে গোপন বৈঠক আহবান করা হয়েছিল। মেজবান ছিল ঢাল মাত্র। তাই হঠাৎ করে জাফরের উপর মাতব্বর হয়ে উঠা আগাছা পরিস্কার করা হয়েছে।

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম খান বলেন, ঘটনা শুনে পুলিশ ফোর্স নিয়ে আমি মাজারে যাই। সেখানে খাদেমসহ কয়েকজন লোক আমাকে ভাংচুর করা ডেকসি-পাতিল দেখায়। এ ব্যাপারে কেউ লিখিত অভিযোগ করলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

পাঠকের মতামত: