ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

টেকনাফে আনসার ক্যাম্পে হামলার ঘটনায় আটক হয়নি কেউ: ডাকাতদের দুই স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে

গিয়াস উদ্দিন ভুলু, টেকনাফ :::12144705_889534974455838_5989135785643671443_n

টেকনাফে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার ক্যা¤প কমান্ডার মো. আলী হোসেনকে হত্যা ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় দুই নারীকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শনিবার দিবাগত রাতে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- ওই ক্যা¤েপর ডি-বকের বাসিন্দা মো. হোসেন ওরফে রফিক ডাকাতের দুই স্ত্রী হুমাইরা ও আনোয়ারা বেগম।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা টেকনাফ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. কবির হোসেন জানান, আনসার কমান্ডার হত্যা ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় শুক্রবার দিবাগত রাতে আনসার ক্যা¤েপর পাটুন কমান্ডার মো. আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে ৩০-৩৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা ও ডাকাতি মামলা দায়ের করেছেন।

তিনি জানান, ওই দুই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য নিয়ে আনা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে কিছু তথ্য বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে এর বাহিরে কিছু বলা যাচ্ছে না এবং যৌথ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মামলার বাদী মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘গত বৃহ¯পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ৩০-৩৫ জনের ডাকাত দল অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ক্যা¤েপ হামলা চালিয়ে কমান্ডার মো. আলী হোসেনকে গুলি করে হত্যা করে যাওয়ার সময় ১১টি অস্ত্র ও ৬৭০টি গুলি লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে ৩০-৩৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা ও ডাকাতি মামলা দায়ের করেছি।’

 এদিকে আনসারের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান খাঁন বলেছেন, ‘সরকারি স¤পদ লুট ও একজন আনসার সদস্যকে গুলি করে হত্যা কোনো ভাবে মেনে নেয়া যায় না। প্রধানমন্ত্রী আমাকে এখানে পাঠিয়েছেন। অস্ত্র উদ্ধার ও জড়িতদের আটক করতে। র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ ও আনসারের যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। প্রয়োজনে অভিযানে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হবে।

 গতকাল শনিবার বিকালে নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের আনসার ক্যা¤েপ পরিদর্শনে এসব কথা বলেন আনসারের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান খাঁন।

এ সময় তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ওই ক্যা¤েপ থাকা আনসার সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির সংলগ্ন লেদা বিজিবির চৌকিতে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- আনসারের সহকারী পরিচালক এএসএম আজম উদ্দিন, কক্সবাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) রিদুয়ান জোবায়ের, বিজিবির কক্সবাজারে সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. তানভির আলম খাঁন, ২৯ আনসার ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লে. তানজিনা বিনতে এরশাদ, ২ বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর আবু রাসেল ছিদ্দিকী, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মো. শফিউল আলম, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের সহকারী সচিব (নয়াপাড়া শরণার্থী শিবিরের ইনচার্জ) সাইদুল ইসলামসহ কর্মকর্তারা।

 উলেখ্য, গত বৃহ¯পতিবার দিবাগত রাতে ওই আনসার ক্যা¤েপ হামলা চালায় ডাকাতরা। তারা অস্ত্রাগার লুট করতে চাইলে বাধা দেন ক্যা¤েপর আনসার কমান্ডার মো. আলী হোসেন। এ সময় তাদের গুলিতে প্রাণ হারান তিনি। পরে ডাকাতরা ১১টি অস্ত্র ও ৬৭০টি গুলি লুট করে পালিয়ে যায়। যাওয়ার পথে ডাকাতদের কোপে আহত হন রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের এক বাসিন্দাও।

এর আগে গত বছরের ১৫ মার্চ নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে ডাকাতদের সঙ্গে আনসার সদস্যদের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় দুই আনসার সদস্য আহত ও এক ডাকাত নিহত হয়।

টেকনাফ সাবরাংয়ের ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ আহত-৩

গিয়াস উদ্দিন ভুলু, টেকনাফ

টেকনাফ সাবরাং আচারবনিয়া পাড়া এলাকায় ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের সংর্ঘষে ৩ ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছে। এ ব্যাপারে টেকনাফ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, সাবরাং ইউনিয়নের আচারবনিয়া এলাকার ছাফা মারোয়া (১২) ৪র্থশ্রেনীর এক ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে একই এলাকার আবদুল মতলবের ছেলে মো: ইউনুছ প্রায় সময় আমার নাতিকে প্রায় অশুভ আচারন করত। উক্ত ঘটনায় ইভটিজিংকারী ইউনুছের পিতা আবদুল মতলবের কাছে বিচার চাইতে গেলে তার ছেলে মো: ইসহাক, মো: হাসন, গুলবাহার , নুর বশর, আবু শর্মাসহ অজ্ঞাত নামা আরো কয়েজন মিলে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ছেলে আমার ছেলে মোহাম্মদ নাসিরে উপর হামলা করে তার শোর চিৎকারের আমার অপর দুই ছেলে মো: জসিম, ও রহিম উল্লাহ ঘটনাস্থলে গেলে দা- কিরিছ ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাদের উপরও হামলা চালায়। এতে দা- কিরিছে আঘাতের আমার তিন ছেলে রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লোটে পড়ে। পরে স্থানীয় রা এগিয়ে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমম্পেক্সে নিয়ে আসে তাদের অবস্থা আশংকা জনক হওয়া কর্তবরত কক্সবাজার সরকারি হাসপাতালে রেফার করে। এব্যাপারে সাবরাং আচারবনিয়ার মৃত এরশাদ উল্লাহ পুত্র জহির আহম্মদ বাদি হয়ে টেকনাফ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ২৯ বলে জানা জায়।

টেকনাফ মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ আবদুল মজিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আহতদের পিতা জহির আহম্মদ বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীদের আটক করতে পুলিশে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

এদিকে উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখনো চরম নিরাপত্তাহিনতায় ভুগছে বাদীর পরিবার।

পাঠকের মতামত: