ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় যাত্রীবাহি বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে নিহত-১, নারী-শিশুসহ আহত-২০

sddddএম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

কক্সবাজারের চকরিয়ায় হানিফ পরিবহনের যাত্রীবাহি একটি বাস ও অপর একটি মাইক্রোবাসের (হাইয়েস) মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহত ও নারী-শিশুসহ অন্তত ২০জন আহত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপজেলার বানিয়ারছড়া এলাকায় ঘটেছে এ দুর্ঘটনা। আহতদের মধ্যে ১৫জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। আহতদেরকে চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কক্সবাজার থেকে যাত্রী নিয়ে একটি হাইয়েস মাইক্রেবাস চট্টগ্রাম যাচ্ছিলেন। গাড়িটি পথিমধ্যে চকরিয়া উপজেলার বানিয়ারছড়া এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত মুখী হানিফ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহি বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে নুরুল আলম (৩০) নামের এক মাইক্রোবাসের যাত্রী নিহত হয়েছেন। নিহত নুরুল আলম কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রত্মাপালং ইউনিয়নের কোটবাজার এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে। পেশায় তিনি রাজমেস্ত্রী কাজ করতেন।

চকরিয়া হাসপাতালের জরুরী বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নের আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো.বেলাল (৪২), ডুলাহাজারা ইউনিয়নের কুনু মিয়ার ছেলে বিপ্লব (২৪), আবুল কাশেমের ছেলে মো.সফিক (২), মালুমঘাট এলাকার আবদুল মালেকের ছেলে মিরাজ আহমদ (৩০), চকরিয়া পৌরসভার কোচপাড়া গ্রামের নুরুল কবিরের ছেলে মো.ফারুক (৩১), টেকনাফ উপজেলার জবুর মৌলভীর ছেলে আবুল কাশেম (৫৬), মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের নুরুল আবছারের ছেলে মিনহাজ উদ্দিন (৩), একই এলাকার মীর আহমদের ছেলে শাকের আহমদ (২৮), মনুর আলীর ছেলে শাহরিয়ার (২৫), মৃত নুরুল আলমের ছেলে নুরুল আবছার (৩১), কফিল উদ্দিনের ছেলে মো.জুবাইর (২৬), একই উপজেলার ধলঘাটা ইউনিয়নের মোহাম্মদ কাইছারের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (২৮), ভোলা জেলার বাসিন্দা আবদুল মালেকের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম (৪০), তার স্ত্রী শাহেদা আক্তার (২৯), তার শিশু কন্যা সাথী মনি (২), উখিয়া উপজেলার শাকের আহমদের ছেলে আইয়ুব আলী (২৫) ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার নুরুল আমিনের ছেলে আমির মোহাম্মদ (৪০) সহ ২০জনকে ঘটনার পর পর উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

চকরিয়া সরকারি হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা.মোহাম্মদ ছাবের বলেন, হাসপাতালে আনার পর কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে গুরুতর আহত ১৫জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি বলেন, আহত তিনজনকে চকরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানতে চাইলে চিরিঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁিড়র আইসি (ইনর্চাজ) আবুল কাশেম বলেন, ঘটনাস্থল থেকে হতাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মরদেহের সুরতহাল রির্পোট তৈরী করা হয়েছে। গাড়ি দুটি জব্দ করা সম্ভব হলেও চালক-হেলপার পালিয়ে গেছে।

পাঠকের মতামত: