ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

কক্সবাজারে অবৈধ অস্ত্রের ছড়াছড়ি

imagesকক্সবাজার প্রতিনিধি :::

কক্সবাজার শহরে গত রবিবার সকালে বিদেশী পিস্তলসহ এক আওয়ামী লীগ নেতা আটকের ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। সে সাথে রাজনৈতিক ক্যাডার ও সন্ত্রাসীদের হাতে বিদেশী অত্যাধুনিক অস্ত্রসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র মজুদের খবর বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে।

সূত্র মতে, গত রবিবার বিদেশী পিস্তলসহ আওয়ামী লীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন জান্নু পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর জেলাব্যাপী সন্ত্রাসী ও রাজনৈতিক ক্যাডারদের হাতে বিপুল পরিমাণ অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র মজুদের বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে এসেছে। কক্সবাজারে রাজনৈতিক ক্যাডার ও সন্ত্রাসীদের হাতে অন্তত ২ হাজার অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধারণা। এরমধ্যে শুধুমাত্র কক্সবাজার শহরেই রয়েছে ৩ শতাধিক অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র। এসব অস্ত্রের মালিক শহরের দুই শতাধিক রাজনৈতিক ক্যাডার ও পেশাদার সন্ত্রাসী। এসব অস্ত্রের মধ্যে অধিকাংশই দেশীয় তৈরী এলজি, পাইপগান বা গাদা বন্দুক হলেও বিদেশে তৈরী অত্যাধুনিক মারণাস্ত্রও রয়েছে। এমনকি বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক ক্যাডারের হাতে একে৪৭ রাইফেলের মত স্বয়ংক্রিয় মারণাস্ত্রও রয়েছে বলে গোপন সূত্রে জানা গেছে। তবে নিকট অতীতে কক্সবাজারের কোথাও একে৪৭ রাইফেলের ব্যবহার চোখে পড়েনি। যদিও শহরের পাহাড়ি ও দুর্গম এলাকায় সন্ত্রাসীরা পিস্তলসহ বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে নিয়মিত মহড়া চালায়। বিশেষ করে পাহাড়তলী, দক্ষিণ রমালিয়ারছড়া, খাজা মঞ্জিল এলাকা, বাদশার ঘোনা, ফাতের ঘোনা, জেলা কারাগার সংলগ্ন এলাকায় প্রায় প্রতি রাতেই গুলির শব্দ শোনা যায়। শহরের এসব এলাকা এখন সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আস্তানা হয়ে ওঠেছে।

রাজনৈতিক ক্যাডারদের হাতে ব্যাপক অস্ত্র মজুদ থাকার কথা স্বীকার করে পুলিশের উর্ধ্বতন একটি সূত্র জানায়, পুলিশ সব দেখে ও জানে। কিন্তু রাজনৈতিক চাপের ভয়ে অস্ত্র উদ্ধারের ব্যাপারে তারা অনাগ্রহী। কোন সন্ত্রাসী ও অস্ত্রধারী পুলিশের হাতে ধরা পড়লেই তাদের উপর ‘ষড়যন্ত্র’ তত্ত্ব চাপিয়ে দেয়া হয়। রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত ভাবে অস্ত্র উদ্ধারের ক্ষমতা পুলিশকে দেয়া হলে মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই পুলিশ কক্সবাজার শহরকে অস্ত্রমুক্ত করতে পারে বলে অভিমত ওই সূত্রের।

সূত্র আরো জানায়, সরকারী ও বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত উল্লেখযোগ্য নেতা এখন লুকিয়ে অস্ত্র বহন করে। অথবা সাথে অস্ত্রধারী রাখে। যাতে নিজ দলীয় প্রতিপক্ষ ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের হাতে হামলার শিকার হলে তা ব্যবহার করতে পারে অথবা প্রতিপক্ষকে মানষিক ভাবে চাপে রাখতে পারে। কিন্তু এসব অস্ত্রধারীরা এখন নিরীহ মানুষকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে জিম্মি করছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। আজাদী

New

 

0

 

0

 

0

 

0

 

0

 

পাঠকের মন্তব্য [০]   |    [২২] বার পঠিত

– See more at: http://www.dainikazadi.org/details2.php?news_id=1275&table=may2016&date=2016-05-13&page_id=17&view=0&instant_status=#sthash.rpxDoAIg.dpuf

পাঠকের মতামত: