ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

বেগম জিয়ার সু-চিকিৎসা ও মুক্তির দাবীতে জনসভা কাল

কক্সবাজারে ব্যাপক লোক সমাগমের প্রস্তুতি জেলা বিএনপি’র

কক্সবাজার প্রতিনিধি :: কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ৩ জানুয়ারি জেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভাকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীরা চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। দীর্ঘ একযুগ অফিস কেন্দ্রিক সভা-সমাবেশ করার পর এটিই হচ্ছে প্রথম জনসভা। এই জনসভাকে জনসমুদ্রকে পরিণত করার পরিকল্পনা করেছে জেলা বিএনপিসহ সহযোগী সংগঠন। তাই জেলার প্রতিটি ইউনিটির উদ্যোগে চলছে ব্যাপক প্রচারণা।

জেলা বিএনপি সুত্রে জানা যায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসাবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সু-চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাওয়ার সুযোগ দেওয়ার দাবীতে ৩ জানুয়ারি জেলা বিএনপি কার্যালয়ে বেলা ১টায় অনুষ্টিত হবে জনসভা। জনসভায় সভাপতিত্ব করবেন জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক হুইপ শাহজাহান চৌধুরী। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখবেন বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম ও কেন্দ্রিয় মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক সাবেক সাংসদ লুৎফুর রহমান কাজল।

বক্তব্য রাখবনে কেন্দ্রিয় সদস্য সাবেক সাংসদ আলমগী মোঃ মাহফুজ উল্লাহ ফরিদ ও সাবেক সাংসদ হাসিনা আহমদ। কেন্দ্রিয় মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক সাবেক সাংসদ লুৎফুর রহমান কাজল বলেন ইংরেজী নববর্ষকে ঘিরে কক্সবাজারে বিপুল সংখ্যক পর্যটকের সমাগম ঘটবে, তাই পর্যটকদের যাতে সমস্যা না হয় সেদিক বিবেচনা করে জনসভার তারিখ ৩০ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ৩ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে।

শহরবাসীর যাতে দূর্ভোগ ইতোমধ্যে জনসভার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছে। আশাকরি জনসভা সুন্দর ও সুশৃংখলভাবে সম্পন্ন হবে। মানুষ চায় বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা।

ইতোমধ্যে বিএনপিসহ দেশবাসীর পক্ষ থেকে বিদেশে নিয়ে দেশনেত্রী বেগম জিয়াকে সুচিকিৎসার দাবি জানানো হয়েছে। এই যৌক্তিক দাবী সরকার মানছে না। যা অমানবিক। তাই জনসভায় বিপুল সমাগম হবে আশাকরি।

বিএনপি’র কেন্দ্রিয় সদস্য সাবেক সাংসদ আলমগীর মোঃ মাহফুজ উল্লাহ ফরিদ জানিয়েছেন, মহেশখালী থেকে ব্যাপক লোকজন জনসভায় উপস্থিত হবেন। আমরা ইতোমধ্যে প্রতিটি ইউনিয়নে কর্মীসভা ও প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। আশাকরি ৩ জানুয়ারির জনসভায় লক্ষাধীক লোকের সমাগম হবে। মানুষ বিএনপি ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ভালবাসেন। জনসভায় তা প্রমান হবে।

কক্সবাজার শহর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক কানন বড়ুয়া বিশাল জানিয়েছেন, সাবেক সাংসদ লুৎফুর রহমান কাজলের নেতেৃত্বে কক্সবাজার সদর, রামু ও ঈদগাও উপজেলা থেকে অন্তত ৫০ হাজার মানুষ জনসভায় উপস্থিত হবে এমনটা আশাবাদী। জনসভা সফল করতে কক্সবাজার জেলার ৭১টি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে ব্যাপক গনসংযোগ করা হচ্ছে। এতে ব্যাপক সাড়াও পাওয়া যাচ্ছে।

পৌরসভায় প্রতিটি ইউনিটে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। দীর্ঘদিন পরে বড় ধরণের সমাবেশের প্রস্তুতি নেওয়ায় ইতোমধ্যে আরো চাঙ্গা হয়েছে নেতাকর্মীরা। জনসভার শৃংখলা রক্ষায় জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বিএনপির পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায় ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর কক্সবাজারে বিএনপির কার্যক্রম অফিস কেন্দ্রিক হয়ে পড়ে। অধিকাংশ সময় জেলায় বিএনপি অনেকটা কোন ঠাসা হয়ে পড়ে। তেমন কার্যক্রম ছিল না। অধিকাংশ নেতাকর্মী অজানা ভয়ে বিএনপি কার্যালয়ে প্রবেশ করেননি। ২০২১ সালের শুরু থেকে পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে শুরু করে। এখন প্রতিদিন সন্ধ্যা হলেই জেলা বিএনপি অফিসে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মত।

পাঠকের মতামত: