ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়া বদরখালী ইউপি’র চেয়ারম্যান খাইরুল বশর না হেফাজ সিকদার !

Chakaria Pictur10-05-2016মিজবাউল হক, চকরিয়া :

বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খাইরুল বশর না হেফাজ শিকদার এনিয়ে চলছে ধু¤্রজাল। রির্টানিং কর্মকর্তা প্রথমে হেফাজ সিকদারকে বিজয়ী ঘোষণা করলেও পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাচন কমিশন, রির্টানিং কর্মকর্তা ও প্রিসাইড়ি অফিসারের যোগসাজসে একটি ভোট কেন্দ্রের ফলাফল পাল্টে দিয়ে খাইরুল বশরের নাম চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন হেফাজ সিকদার। দুইবার ঘোষণা করার কারণে নানা বির্তক সৃষ্টি হয়েছে। এতে বদরখালীবাসীর মধ্যে ধ¤্রুজাল সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে গত ৭মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ৯নং ওর্য়াড় হাবিবা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের পূন: ভোট গণনার দাবি জানান চেয়ারম্যান প্রার্থী হেফাজ সিকদার।

নির্বাচনে পূন: ভোট গণনা দাবী জানিয়ে আ.ন.ম হেফাজ সিকদার বলেন, ৯টি কেন্দ্রের ফলাফলে আমি বিজয় হই। রির্টানিং কর্মকর্তা সাইফুর রহমান ফলাফল সিট হাতে নিয়ে মাইকে বদরখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে আমার নাম ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে খাইরুল বশরকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করে রির্টানিং কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, ১নং ওয়ার্ডে মাঝেরপাড়া হামেদিয়া কাদেরিয়া মাদরাসা কেন্দ্রের ভোট গণনার সময় আনারস প্রতীকের খাইরুল বশরের এজেন্ট ছাড়া অন্যান্য প্রার্থীর সকল এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। ভোট শেষ হওয়ার ৩০মিনিট পূর্বে অস্বাভাবিকভাবে জাল ভোট দিয়ে অন্য ভোট কেন্দ্রের চেয়ে অতিরিক্ত আরো দশভাগ ভোট কাস্টিং দেখানো হয়েছে। ৯নং ওয়ার্ডের হাবিবা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ভোট গণনা হলেও রাত ৮টা পর্যন্ত কোন ফলাফল ঘোষণা করেনি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং অফিসার আরিফুল কবির। এমনকি ওই কেন্দ্রের নির্বাচনী ফলাফল সিটে প্রিসাইডি র্কমর্কতার কোন ধরণের স্বাক্ষরও নেই। এধরণের বির্তকিত সিন্দ্বান্ত বদরখালীবাসীর মাঝে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।

হেফাজ সিকদার আরো অভিযোগ করেন,সকল কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী তিনি বিজয়ী হলেও রহস্যজনক কারণে উপজেলা কন্ট্রোল রুমে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা প্রায় এক ঘন্টা ধরে আত্মগোপনে থাকার পর কন্ট্রোল রুমে আসেন। তাছাড়া প্রিসাইডিং অফিসার আরিফুল কবির ব্যালট বক্স ও ব্যালটের মুড়ি রাখার বস্তা সিলগালা না করে খোলা অবস্থায় জমা দিয়েছেন। এজন্য তাকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সাহেদুল ইসলাম গালিগালাজ করেন। তার রহস্যজনক আচরণে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়। বদরখালী ইউনিয়নের ৯টি কেন্দ্রের ফলাফলে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। উপজেলার নির্বাচনী কন্ট্রোল রুমে এসে অদৃশ্য শক্তির কারণে ফলাফল পাল্টে দিয়ে মাত্র ৪৬ ভোটের ব্যবধান দেখিয়ে তার নিশ্চিত বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে এবং রির্টানিং র্কমর্কতা ও প্রিসাইডি অফিসার আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে আনারস প্রতীকের খাইরুল বশরকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। যা সাধারণ ভোটারদের প্রতি চরম অবাজ্ঞা ও অসম্মান জানানো ছাড়া আর কিছুই নয়। তাই আমি বদরখালীর ৫০হাজার জনগোষ্টির পক্ষ থেকে ১, ২ ও ৯নং ওয়ার্ডের পূণ: ভোট গণনার দাবী জানাচ্ছি। তদন্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট আইনের আওতায় শাস্তি দাবী করছি। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। এদিকে বেসরকারীভাবে খাইরুল বশরকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করলেও তিনি মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে মাঠে নেমেছেন। ইতোমধ্যে তিনি নির্বাচনী ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ করার জন্য উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, রির্টানিং কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতাদের কাছে ধর্না দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এব্যাপারে খাইরুল বশর জানান, ফলাফল পাল্টানো হয়নি। সব ঠিক রয়েছে। জনগণ আমাকে ভোট দিয়েছে। আমার বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করেছে কিনা তা জানা নেই। Chakaria Pictur10-05-2016

পাঠকের মতামত: