ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

আওয়ামী লীগ নেতার হাতে চকরিয়া মৎস্য কর্মকর্তা নাজেহাল

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া:
চকরিয়ায় ইউপি নির্বাচন পরবর্তী ভোটের ফলাফল বিবরণী চাওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ নেতা ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর হাতে লাঞ্চিত হয়েছেন চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা সাইফুর রহমান। সোমবার বিকাল ৫ টায় উপজেলা মৎস কর্মকর্তার কার্যালয়ে ঘটেছে এ ঘটনা।

ঘটনাকালে তিনি জেলে সম্প্রদায়ের নেতাদের নিয়ে তিনি একটি মিটিং এ ব্যস্ত ছিলেন বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উপজেলার বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন গত ৭ মে শেষ হয়। ওই নির্বাচনে রির্টানিং অফিসার এর দায়িত্বে ছিলেন চকরিয়ার সিনিয়র উপজেলা মৎস কর্মকর্তা সাইফুর রহমান। নির্বাচন শেষ পরবর্তী সময় গতকাল সা মবার বিকাল ৫ টায় প্রত্যেক ভোট কেন্দ্রের ফলাফল বিবচরণীর জন্য রির্টানিং অফিসার এর অফিসে আসেন বদরখালীর আওয়ামীলীগ নেতা নুরে হাবিব তসলিম ও তার ছোট ভাই বদরখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং পরাজিত চেয়ারম্যান প্রর্থী নুরে হোসেন আরিফ। তারা দুজনই মৎস কর্মকর্তার কাছে প্রত্যেক কেন্দ্রের ভোটের ফলাফল বিবরনী চাইলে তিনি তা দিতে অনিহা প্রকাশ করেন। এতে একপর্যায়ে ক্কিপ্ত হয়ে তসলিম ও আরিফ দুই ভাই মৎস কর্মকর্তা সাইফুর রহমানের উপর চড়াও হয় এবং এক পর্যায়ে তাকে গালমন্দ করেন। এ সময় মৎস কর্মকর্তা সাইফুর রহমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ফোন করতে চাইলে তারা তার মোবাইল ফোনটি ও কেড়ে নেন বলে মৎস কর্মকর্তা জানান।

এ ব্যাপারে মৎস কর্মকর্তা সাইফুর রহমান জানান নির্বাচনে ভোটের ফলাফল বিবরণী কাউকে না দিতে উপরের নিষধ রয়েছে। তারা জোর করে আমার কাছ থেকে তা চাইছিল। অপরদিকে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরে হোসেন আরিফ জানান সদ্য শেষ হওয়া নির্বানে মৎস কর্মকর্তা ও রির্টানিং অফিসার সাইফুর রহমান টাকার বিনিময়ে খাইরুল বশরকে জিতিয়ে দিয়েছেন। তাই তিনি আমাকে ফলাফল বিবরনী দোচ্ছেনা। তবে নাজেহালের কোন ঘটনা ঘটেনি।

জানতে চাইলে চকরিয়া উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেদুল আলম বলেন, বিষয়টি মৎস কর্মকর্তার এখতিয়ার। আমি এব্যাপারে কিছুই জানিনা।

পাঠকের মতামত: