ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাদ্রাসায় দুস্কৃতিকারিদের হামলায় শিক্ষক-ছাত্রসহ নিহত ৭

নিউজ ডেস্ক :: কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থিত ‘দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল-ইসলামিয়াহ’ নামের একটি মাদ্রাসায় দুস্কৃতিকারিদের হামলায় আরও ৩ রোহিঙ্গা মারা গেছেন। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ জনে। এর আগে শুক্রবার ভোররাতে উখিয়ার ১৮নং ক্যাম্পে ৪ জন রোহিঙ্গা নিহত হওয়ার খবর জানায় পুলিশ।

নিহতরা হলেন- রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১২, ব্লক-জে-৫ এর বাসিন্দা হাফেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষক মোঃ ইদ্রীস (৩২), ক্যাম্প-৯ ব্লক-১৯ এর মৃত মুফতি হাবিবুল্লাহর ছেলে ইব্রাহীম হোসেন (২৪), ক্যাম্প-১৮, ব্লক-এইচ -৫২ এর নুরুল ইসলামের ছেলে মাদ্রাসার ছাত্র আজিজুল হক (২২), একই ক্যাম্পের ভলান্টিয়ার আবুল হোসেনের ছেলে মোঃ আমীন (৩২)।

এছাড়াও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ‘এফডিএমএন’ ক্যাম্প-১৮, ব্লক-এফ-২২ এর মোহাম্মদ নবীর ছেলে মাদ্রাসা শিক্ষক নুর আলম ওরফে হালিম (৪৫), এফডিএমএন ক্যাম্প-২৪এর রহিম উল্লাহর ছেলে মাদ্রাসা শিক্ষক হামিদুল্লাহ (৫৫) ও ক্যাম্প-১৮, ব্লক- এইস ৫২ এর নুর মোহাম্মদের ছেলে ও মাদ্রার ছাত্র নুর কায়সার (১৫)।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ৮ আর্মাড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এপিবিএন এর অধিনায়ক পুলিশ সুপার শিহাব কায়সার জানান, শুক্রবার ভোর রাতে উখিয়া বালুখালী ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে গোলাগুলি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ৪ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ১০-১২ জন রোহিঙ্গা।

ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ৮ আর্মাড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এপিবিএন-এর অধিনায়ক পুলিশ সুপার শিহাব কায়সার জানান, শুক্রবার ভোর ভোর সময়ে ‘এফডিএমএন’ ক্যাম্প-১৮ এইচ-৫২ ব্লকে অবস্থিত ‘দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল-ইসলামিয়াহ’ মাদ্রাসায় রোহিঙ্গা দুষ্কৃতিকারীরা হামলা চালায়। হামলায় মাদ্রাসায় অবস্থানরত ৪ জন এফডিএমএন সদস্য মারা যায়।

উক্ত ঘটনা জানতে পেরে ময়নারঘোনা পুলিশ ক্যাম্প-১২ এর পুলিশ সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধারপূর্বক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ৩ জন মারা যায়।

এসময় পুলিশ হামলাকারীদের একজনকে একটি দেশীয় লোডেড ওয়ান শুটারগান, ৬ রাউন্ড গুলি ও একটি ছুরি সহ হাতেনাতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

ঘটনার পরপরই ময়নারঘোনা পুলিশ ক্যাম্প-১২ এর পুলিশ সদস্যরা ‘মদুতুল উম্মা’ মাদ্রাসা ও আশপাশের এলাকায় ব্লকরেইড পরিচালনা করে আসছে এবং অন্যান্য ক্যাম্প এলাকায়ও একই সাথে ব্লক রেইড পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানান শিহাব কায়সার।

এদিকে, সত্যতা নিশ্চিত করে কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতদেহগুলোর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ। একুশেটিভি

পাঠকের মতামত: