ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

ভাড়ায় চলবে মোটরসাইকেল

00320428_1কালেরকন্ঠ :

রাজধানীর যানজট বেশ পুরনো। রাস্তাও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। বাড়ছে না গণপরিবহন। তবে এত কিছুর মধ্যেও যানজটের সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসেছে ডাটাভক্সসেল লিমিটেড। রাজধানীতে শেয়ারে মোটরসাইকেল চালানোর পরিকল্পনা নিয়ে তারা তৈরি করেছে ‘স্যাম (শেয়ারে মোটরসাইকেল)’ নামের একটি অ্যাপস। এই অ্যাপসটি মূলত রাইডারের (যাত্রী) সঙ্গে বাইকারের (ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল মালিক) সংযোগ করে দেবে। আজ রবিবার থেকে এই অ্যাপসটি ডাউনলোড করা গেলেও আরো এক মাস সময় লাগবে সার্ভিসটি চালু হতে। গতকাল শনিবার রাজধানীর গুলশানের স্পেকট্রা কনভেনশন সেন্টারে ‘স্যাম’ অ্যাপস ও এই সার্ভিসের বিস্তারিত তুলে ধরেন ডাটাভক্সসেলের কর্মকর্তারা।

সংবাদ সম্মেলনে কম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমতিয়াজ কাসেম বলেন, ‘স্যাম কোনো ধরনের ট্যাক্সি কম্পানি বা ট্যাক্সি সার্ভিস সেবা প্রদান করবে না। আমাদের নিজস্ব কোনো মোটরসাইকেলও থাকবে না। কোনো মোটরসাইকেল মালিক যদি চায় সে একজন যাত্রী পরিবহন করবে তাহলে সেও আর্থিকভাবে লাভবান হবে, আর আরোহীও সাশ্রয়ী মূল্যে গন্তব্যে পৌঁছতে পারবে। রাজধানীর চার লাখ মোটরসাইকেল চালক যদি একজন করেও যাত্রী পরিবহন করে তাহলে আরো চার লাখ মানুষ সহজে গন্তব্যে পৌঁছতে পারবে। মোটরসাইকেল মালিক যে স্থানে যেতে চায় সে সেই স্থানের একজন যাত্রীকেই নিতে পারে।’

স্যাম যেভাবে কাজ করবে : যাত্রী ও মোটসাইকেল মালিক উভয়কেই এই সার্ভিসে যুক্ত হতে হলে অ্যানড্রয়েড মোবাইলে স্যাম অ্যাপসটি ইনস্টল করতে হবে। গুগলের প্লে স্টোরে এই অ্যাপসটি পাওয়া যাবে। এরপর যাত্রার শুরুতে বাইকার ও রাইডার অ্যাপসটি লগ ইন করে একটি অনুরোধ পাঠাতে পারবে। যা রাইডারের দুই কিলোমিটার এরিয়ার মধ্যে অবস্থিত সব বাইকারের কাছে পৌঁছে যাবে। একই গন্তব্য অভিমুখী বাইকার রাইডারের অনুরোধটি গ্রহণ করে বাইকারকে তুলে নিতে পারবে। দুজনেই তাদের অনুরোধ গ্রহণ করলে একে অন্যের মোবাইল নম্বরও তারা অ্যাপসের মাধ্যমে পাবে।

কেমন ভাড়া : এই সার্ভিস গ্রহণকারী ও সেবাদানকারী দুজনের মধ্যেই নগদ কোনো টাকা লেনদেন হবে না। রাইডারকে যাত্রার শুরুতেই স্যাম অ্যাপসের ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে বিল প্রদান করতে হবে। প্রতি সপ্তাহের শেষ বৃহস্পতিবার বাইকারের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তার পুরো সপ্তাহের বিল পরিশোধ করা হবে। একজন বাইকার তার আয়ের ৮০ শতাংশ নিজে পাবে, বাকি ২০ শতাংশ পাবে ডাটাভক্সসেল। এই সার্ভিস গ্রহণকারীদের জন্য প্রতি কিলোমিটার ছয় টাকা হিসাবে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। যানজটে আটকা থাকলে বাড়তি কোনো চার্জ নেই। তবে রাইডার যদি মোটরসাইকেলে উঠতে সময় ব্যয় করে তাহলে প্রতি মিনিটের জন্য দুই টাকা করে কাটা হবে। ১০ মিনিটের বেশি দেরি করবে না বাইকার। আর মোটরসাইকেল চলার সঙ্গে সঙ্গে স্যাম অ্যাপসে মাইলেজ গণনা করা শুরু করবে। আর যদি কোনো রাইডার একজন বাইকারকে কল করেও না যায় তাহলে ৩০ টাকা চার্জ কাটা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, স্যাম অ্যাপসটি ডাউনলোড করতে রাইডার ও বাইকার উভয়কেই দিতে হবে নানা ধরনের তথ্য।

পাঠকের মতামত: