ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

জামায়াতের হরতাল চলছে

image_155062_0নিজস্ব প্রতিবেদক :::

ঢাকা: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ড আপিলেও বহালের প্রতিবাদে সারাদেশে ২৪ ঘণ্টা হরতাল কর্মসূচি পালন করছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

বৃহস্পতিবার দুপুরে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। তার আগে বেলা সাড়ে ১১টার পর প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ নিজামীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন।

এর আগে মঙ্গলবার রিভিউ শুনানি শেষে ৫ মে রায়ের দিন ধার্য করা হয়। ওই দিন শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আর আসামিপক্ষে ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আপিলেও মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহালের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে গত ২৯ মার্চ আবেদন করেন নিজামী। ৭০ পৃষ্ঠার মূল রিভিউ আবেদনের সঙ্গে ২২৯ পৃষ্ঠার নথিপত্রে তার দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে ৪৬টি (গ্রাউন্ড) যুক্তি তুলে ধরা হয়।

গত ১৫ মার্চ নিজামীর আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাসহ আপিল বিভাগের চার বিচারপতির স্বাক্ষরের পর এ রায় প্রকাশ করা হয়।

গত ৬ জানুয়ারি বুদ্ধিজীবী হত্যার পরিকল্পনাকারী ও উসকানিদাতাসহ মানবতাবিরোধী তিনটি অপরাধের দায়ে দোষী জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে নিজামীর করা আপিল আংশিক মঞ্জুর করে রায় ঘোষণা করা হয়।

বুদ্ধিজীবী হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর মতিউর রহমান নিজামীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। নিজামীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আনা আপিলের রায় গত ৬ জানুয়ারি ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ।

জামায়াতে বিবৃতিতে বলা হয়, “মাওলানা নিজামীকে হত্যার মাধ্যমে সরকার শুধু জামায়াতে ইসলামীকেই নেতৃত্ব শূন্য করতে চায় না, বরং একজন গণতান্ত্রিক জাতীয় নেতৃত্ব থেকে দেশকে বঞ্চিত করতে চায়। আমরা বিশ্বাস করি একের পর এক নেতৃবৃন্দকে হত্যা করে ইসলামী আদর্শকে হত্যা করা যাবে না। সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে জাতি তা দেখতে চায় এবং মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীকে মুক্ত অবস্থায় পেতে চায়।”

এই দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জামায়াত ৩ দিনের কর্মসুচি ঘোষণা করে-

৬ মে শুক্রবার দেশব্যাপি দোয়া দিবস

৭ মে শনিবার দেশব্যাপি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ

৮ মে রোববার সকাল ৬টা থেকে ৯ মে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশব্যাপি শান্তিপূর্ণ সর্বাত্মক হরতাল।

উপরোক্ত কর্মসূচির বিষয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “শান্তিপূর্ণভাবে ধৈর্য ও মহান আল্লাহতায়ালার ওপর পূর্ণ নির্ভরতার সাথে ঘোষিত কর্মসূচি সর্বাত্মকভাবে পালন করার জন্য আমরা জামায়াতে ইসলামীর সকল শাখা এবং কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, সুশীলসমাজ, ওলামায়ে-কেরাম ও পেশাজীবীসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ তথা দেশের আপামর জনতার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।”

বিঃদ্রঃ অ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী গাড়ী, হাসপাতাল, ওষধের দোকান, ফায়ার সার্ভিস ও সংবাদপত্রের গাড়ি হরতালের আওতামুক্ত থাকবে।

পাঠকের মতামত: