নিজস্ব প্রতিবেদক :: কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফাসিয়াখালী ও ফুলছড়ি রেঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার বনাঞ্চলে কাঠ চুরি ও পাচারের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। সোমবার (৬ এপ্রিল) রাত দেড়টার দিকে চকরিয়া উপজেলার নলবিলা বিট কাম চেক ষ্টেশন এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ টহল দল অভিযান চালিয়ে অবৈধ জ্বালানী কাঠ ভর্তি একটি ট্রাক জব্দ করেছে।
এর আগেও গত ১ এপ্রিল আটক করা হয় অর্ধ কোটি টাকা মুল্যের বিপুল পরিমাণ চোরাই কাঠ। বনবিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকায় চোরাই কাঠ পাচার অনেকটা হ্রাস পাচ্ছে বলে দাবি বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে উত্তর বনবিভাগের বনাঞ্চল থেকে বৃক্ষ নিধন করে বিপুল পরিমাণ চোরাই কাঠ ট্রাকযোগে পাচার করছিল সংঘবদ্ধ চক্র। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলামের নির্দেশে কক্সবাজার সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা ও বিশেষ টহল দলের ওসি এমদাদুল হকের নেতৃত্বে স্পেশাল টিম অভিযান চালায়। এ সময় পাচারকালে চকরিয়া উপজেলার নলবিলা বিট কাম চেক ষ্টেশন এলাকা থেকে অবৈধ জ্বালানী কাঠ ভর্তি একটি ট্রাক আটক করে।
কক্সবাজার সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা ও বিশেষ টহল দলের ওসি এমদাদুল হক জানান, সংঘবদ্ধ একটি কাঠ চোরাকারবারী সিন্ডিকেট বন বিভাগের লোকজনের চোঁখকে ফাঁকি দিয়ে বননিধন ও চোরাই পথে কাঠ পাচার অব্যাহত রাখার চেস্টা করছে। কিন্তু যখনই খবর পাওয়া যাচ্ছে তখনই চালানো হচ্ছে অভিযান। এতে করে দিনদিন চোরাই পথে কাঠ পাচার হ্রাস পাচ্ছে। এ সংক্রান্তে বেশ কয়েকটি সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ তৌহিদুল ইসলাম চকরিয়া নিউজকে জানান, বনজ দ্রব্য ধবংসকারি ও চোরাচালানী চক্রের বিরুদ্ধে বনবিভাগের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গাছ চোরাচালানে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। চোরাই পথে গাছ পাচারের চেস্টা করা হলে তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে তা জব্দ করা হচ্ছে। বন নিধনকারিদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।
পাঠকের মতামত: