কুতুবদিয়া প্রতিনিধি :: বেড়িবাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানি প্রবেশ করল কুতুবদিয়ায়। পূর্ণিমায় জোয়ারের তান্ডবে উপজেলার কৈয়ারবিল বিন্দা পাড়ায় কাচা বেড়িবাঁধ ভাঙন ধরেছে। অতিরিক্ত জোয়ার থাকবে আরো ৩ দিন। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া না হলে পার্শ্ববর্তী উত্তর কৈয়ারবিল ও ফৈত্যার পাড়ায় উঠবে লবনাক্ত সাগরের পাইন।
স্থানীয় বাসিন্দা আহমেদ হোছাইন, জাহাঙ্গীর আলম, রমজান আলী, মুরশিদা বেগম জানান, অমাবশ্যা-জোয়ারে অতিরিক্ত পানি বৃদ্ধি পেয়ে কাঁচা বাঁধে ধাক্কা লাগে। গতকাল থেকে পূর্ণিমার জোয়ারে অস্বাভাবিক পানি বেড়ে কৈয়ারবিল বিন্দা পাড়া নামক স্থানে কাঁচা বেড়িবাঁধে ভাঙন চলছে। উপচে পড়ছে সাগরের পানি। প্রকট আকার ধারণ করেছে প্রায় ৩‘শ মিটার বাঁধে। জোয়ার থাকবে আরো ৩ দিন। জরুরী পদক্ষেপ না নিলে আশপাশের ৩ গ্রামের ঘর-বাড়ি, ফসলী জমি, সবজি ক্ষেতে প্রবেশ করতে থাকবে লবনাক্ত পানি।
বিন্দা পাড়ার সুজা উদ্দিন, বাঁধ সংলগ্ন বাসিন্দা আবু তালেব জানান, শুধু জোয়ারের পানিতেই চলে গেছে তাদের ২৫ বিঘা জমি। হঠাৎ পূর্ণিমার জোয়ারের ঢেউয়ের ধাক্কায় ভেঙে যাচ্ছে বাঁধ। এভাবে পানি বাড়লে বৃহস্পতিবারের মধ্যে ৩‘শ মিটার বাঁধ বিলিন হয়ে যাবে।
১ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ফরিদুল আলম জানান, বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। তারা অসহায়ের মত দেখছেন। কিছুই করতে পারছেন না। ইতিমধ্যে উপচে পড়া লোনা পানি ঢুকে সবজি ক্ষেত, আউশ ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় সমাজ সেবক দ্বীপাঞ্চল পত্রিকার সম্পাদক আকবর খান জানান, অনিয়ম করে বালি দিয়ে বাধের নিচ থেকে মাটি নিয়ে ফের বাধে দেয়ায় জোয়ারের ঢেউয়ের আঘাতে ভেঙে যাচ্ছে বাঁধ। ফলে আশ-পাশের ৩ গ্রামে সহকেই লবন পানি ঢুকে ছড়িয়ে পড়ছে। দ্রুত মাটি ভরাট করে জিও ব্যাগ বসিয়ে ভাঙন ঠেকানো যেতে পারে বর্ষা মওসুমে।
একই কথা জানান কৈয়ারবিল ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজমগীর। কাঁচা বেড়িবাঁধ নির্মাণে ঈগল রীচ কন্সট্রাক্শন লি: ৭০ ভাগ বালির কাজ করে গেছেন মাত্র ৩/৪ মাস আগে। এত অল্প সময়ে জোয়ারের আঘাতে ভেঙে গেল বাঁধ। বাধের নিচ থেকেই বালি নেয়ায় সহজেই ভেঙে যাচ্ছে বেড়িবাঁধ। এটি বার বার বলার পরেও কেউ খোঁজ নেয়নি। ফলে ঘর-বাড়ি, ফসল, সবজি চাষ সহ ভোগান্তি বেড়ে যাবে এক হাজার পরিবারে। এটি পাশ^বর্তী দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নের বাতিঘর পাড়ায় ছড়িয়ে পড়বে । তিনি বিভিন্ন দপ্তরে বিষয়টির জরুরী পদক্ষেপ নেয়ার জন্য অবহিত করেছেন বলে জানান।
প্রতিদিন দু‘বার জোয়ারের তান্ডবে বাঁধ ভেঙে সাগরের লোনাজল লোকালয়ে প্রবেশের বিষয়ে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারি প্রকৌশলী এলটন চাকমার মোবাইল বন্ধ থাকায় বার বার চেষ্টা করেও জরুরী পদক্ষেপের বিষয়ে জানা সম্ভব হয়নি।
পাঠকের মতামত: