মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, বান্দরবান প্রতিনিধি ঃ
১০ টাকা কেজি দামের চাল প্রাপ্ত হতদরিদ্রদের তালিকায় বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টার নাম দেখে বিস্মিত স্থানীয়রা। সরকারি নীতিমালাকে বৃদ্ধাআঙ্গুলী দেখিয়ে অসাধু খাদ্য কর্মকর্তা উপজেলার হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে মহাজন ও স্বচ্ছল পরিবারগুলোকে ১০টাকা কেজি দামে চাল ক্রয়ের কার্ড বিতরণ করছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১০টাকা কেজি দামে চাল বিতরনে ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রণয়ন করা হতদরিদ্র পরিবারগুলোর তালিকা করেছে ইউনিয়ন পরিষদ। সেই তালিকা ভিত্তিক কার্ডে সই করেছেন রোয়াংছড়ি উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক। আর এই তালিকায় কার্ড পেয়েছেন খোদ রোয়াংছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা দীপক ভট্টাচার্য।
আরো জানা গেছে, জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের প্রধান বাজারে পাকা দোতলা আবাসিক হোটেল, গাড়ি এবং বাড়ির মালিক রোয়াংছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা দীপক ভট্টাচার্য। তার নামে ১০টাকা কেজি দামের চাল ক্রয়ের কার্ড ইস্যু করার ঘটনায় পুরো এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। শুধু তিনি নন, উপজেলার অনেক বিত্তবান ১০টাকা কেজি দামের চাল ক্রয়ের কার্ড পেয়েছেন।
রোয়াংছড়ি উপজেলার বাসিন্দা উ খ্যা মং মার্মা বলেন, আমরা কার্ডের জন্য অনেক তদবির করেও কার্ড পায়নি, বরং বড় লোকদের বাসায় কার্ড পৌছে যায়। আরো জানা গেছে, অতিউৎসাহী কিছু জনপ্রতিনিধি এবং খাদ্য কর্মকর্তা-কর্মচারীর পরস্পর যোগসাজশেই হত দরিদ্রদের পরিবারের পরিবর্তে বিত্তশালীদের নামে কার্ড ইস্যু করা হয়েছে রহস্যজনক কারণে, এমন অভিযোগ অনেকের।
এই ব্যাপারে রোয়াংছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা দীপক ভট্টাচার্য বলেন, আমি ১০টাকা কেজি দামের চাল ক্রয়ের কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলাম কিন্তু গ্রহন করিনি।
রোয়াংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান চহামং মারমা বলেন, দীপক ভট্টাচার্যের ওই কার্ডটি জব্দ করা হয়েছে এবং একজন মহাজনের নাম কি ভাবে তালিকাভুক্ত হল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
জেলা খাদ্য অফিস সূত্র জানা যায়, জেলার ৩৩টি ইউনিয়নে প্রায় ২০ হাজার হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ১০টাকা কেজি দামে চাল বিক্রয় করা হচ্ছে চলতি মাস থেকে। চলবে আগামী জানুয়ারি মাস পর্যন্ত। পরবর্তীতে পুনরায় একইভাবে একই দামে বিক্রি হবে চাল এসব ইউনিয়নে।
পাঠকের মতামত: