প্রেস বিজ্ঞপ্তি : চট্টগ্রামে হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের ব্যবস্থাপনায় হেফাজতে ইসলাম সহ ইসলামী সংগঠন’কে নিয়ে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক শ্লোগানের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বিবৃতি দিয়েছেন, খেলাফত মজলিসের কক্সবাজার জেলা সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা মুফতি আবু মূসা ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাওলানা হাফেজ নুরুল্লাহ জিহাদী। নেতৃদ্বয়, হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ নামক সংগঠনের কতিপয় উগ্রবাদী কর্মীরা হেফাজতে ইসলাম সহ সকল ইসলামী সংগঠন’কে নিয়ে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক স্লোগান নিয়ে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির পায়তারা করছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষী ব্যাক্তিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি দাবি জানিয়েছেন এবং এই সন্ত্রাসী সংগঠন নিষিদ্ধ করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য : বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ অরাজনৈতিক ইসলামী সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ও কওমি আলেম ওলামাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে চট্টগ্রাম জাগো হিন্দু পরিষদ। এ আন্দোলনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের কর্মীরা ইসলামি দলগুলোকে নিয়ে উগ্র ও সহিংস স্লোগান দিয়ে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে, এদের পিছনে কারা, এদেরকে চিহ্নিত করতে হবে।
উস্কানিমূলক স্লোগান :
একটা দুইটা দালাল ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর !
কওমির দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান !
মৌলবাদের আস্তানা, জালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও
হেফজাতের আস্তানা, জালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও
হেফাজতের গালে গালে- জুতা মারো তালে তালে চরমোনাইর গালে গালে, জুতা মারো তালে তালে
জাগো হিন্দু পরিষদের ফেসবুক পেজে আপলোড করা এক ভিডিওতে তাদের এসব স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
এ সময় হুজুরদের জঙ্গি আখ্যা দিয়ে আরও নানান উগ্র স্লোগান দিতে শোনা গেছে দলটির নেতাকর্মীদের। দলটির একজন নেতা রানা দাশ গুপ্তসহ আরও অনেক নেতারাও ইসলাম ও ইসলামী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে উগ্র ও সহিংস ভাষণ দিয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে দেশে একের এক নবীজি সা. ইসলাম ও কোরআন অবমাননা করে আসছে বাংলাদেশের উগ্র হিন্দুরা। ধর্ম অবমাননা করায় কয়েকজন উগ্র হিন্দুকে পুলিশ গ্রেফতারও করেছে। তারা নবী সা. হযরত আয়েশা রা. ও কোরআন শরীফ নিয়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল দিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছে।
অনেক দিন ধরে এসব উগ্রবাদী হিন্দুরা ধারাবাহিকভাবে ইসলাম অবমাননা ও মুসলিমদের বিরুদ্ধাচারণ করে আসছে। অপর দিকে তারাই আবার মুসলিমদের ঘৃণার পাত্র হবার অভিযোগ করছে।
সংগঠনটির পেজে এরা বছরের পর বছর ধরে ইসলাম ধর্ম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে দেশের শান্তি শৃঙ্খলা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির পাঁয়তারা করে যাচ্ছে। আর প্রশাসন নিরবে তা দেখে যাচ্ছে, বলে আমরা দেখছি। এখন এরা দানবে পরিণত হয়েছে। অনতিবিলম্বে এদেরকে আইন আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করুন।
পাঠকের মতামত: