ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

হাতি আর মানুষের সংঘাত থামাতে বনাঞ্চলের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে-চকরিয়ায় সেমিনারে বক্তারা

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::  নির্বিচারে পাহাড় নিধন, বনাঞ্চল জবর-দখলের পাশাপাশি বৃক্ষরাজি উজাড় ও হাতির অভয়ারণ্যে দিনের পর দিন নতুন নতুন জনবসতি গড়ে তোলার কারণে বর্তমানে পাহাড়ি জনপদে হাতি আর মানুষের মধ্যে দ্বন্ধ সংঘাতের ঘটনা বেড়ে চলছে। এতে প্রতিনিয়ত হাতির আক্রমনে সাধারণ মানুষের প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। এই অবস্থা থেকে উত্তোরন ঘটাতে হলে সবার আগে নিশ্চিত করতে হবে জীববৈচিত্র ও প্রয়োজন বনাঞ্চলের সুরক্ষা। বন্ধ করতে বনাঞ্চলের সবধরণের নৈতিবাচক কার্যক্রম।

শনিবার কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার উত্তর হারবাং উচ্চ বিদ্যালয়ে মিলায়তনে অনুষ্ঠিত হাতি-মানুষের দ্বন্ধ নিরসনে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহন জরুরী শীর্ষক সচেতামুলক কর্মশালায় বক্তারা এ অভিমত প্রকাশ করেছেন।

চট্টগ্রাম বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষন বিভাগের চুনতি অভ্যয়ারণ্য আয়োজনে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন রেঞ্জ কর্মকর্তা মো.মনজুরুল আলম। সেমিনারে প্রধান আলোচক ছিলেন চট্রগ্রাম বিশ^ বিদ্যালয়ে প্রানী ও হাতি বিভাগের প্রধান ড. রায়হান। তিনি বলেন, মানুষ আর হাতির মধ্যে দ্বন্ধের অনেক গুলো কারণ তার মধ্যে অন্যতম হল হাতির জন্য সংরক্ষিত জায়গায় দখল পাহাড় ধংস খাদ্যয়ের অভাব। হাতিসহ বন্যপ্রাণিদের খাদ্য আহরণের এলাকা মানুষের চলাচল বেড়ে যাওয়া ও বসবাস হওয়ায় ফলে হাতিসহ বন্যপ্রাণিরা লোকালয়ে ডুকে যাচ্ছে । নিশ্চিত করতে হবে তাদের খাবার এ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে চাইলে হাতির আগের পরিবেশ ফিরিয়ে দিতে হবে।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষন বিভাগের বিভাগীয় (ডিএফও) বন কর্মকর্তা আবু নাছের মোহাম্মদ ইয়াসিন নেওয়াজ। তিনি বলেন, আগামীতে সবাইকে শেখানো হবে কিভাবে হাতিসহ বন্যপ্রাণিদের আক্রমণের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হয়। মানুষ-হাতির দ্বন্ধ নিরসনকল্পে সরকার একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে।

সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিরানুল ইসরাম মিরান, হারবাং বন্যপ্রানী অভ্যরণ্য বিট কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোমারফ হোসেন, উত্তর হারবাং উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেলাল আহমদ। ##

পাঠকের মতামত: