ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

স্বামীকে পরকিয়া প্রেমে বাধা দেয়ায় স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম

20786378_333297890454412_308596288_nশপিউল আলম, চকরিয়া :
চকরিয়ায় স্বামীকে পরকিয়া প্রেমে বাধা দেওয়ায় গৃহবধু হামিদা বেগম (২৫) কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে পাষন্ড স্বামী ও শাশুড়ী। উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বৃন্দাবনখীল গ্রামে গত শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে ঘটেছে মর্মান্তিক এ ঘটনা। গৃহবধু হামিদা বেগম একই এলাকার আবু ছৈয়দের মেয়ে। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। সর্বশেষ গতকাল ১২ আগস্ট বিকেলে আশংখাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রেরণ করা হয়েছে।
অভিযোগে ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বৃন্দাবনখীল গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে শামশুল আলম (৩০) এর সাথে ২০০৯ সালে বিয়ে হয় একই এলাকার আবু ছৈয়দের মেয়ে হামিদা বেগম (২৫) এর। সুন্দরভাবে চলে তাদের দু’জনের সংসার। সংসারে ৬ বছরের একটি পুত্র সন্তান ও ৪ বছরের একটি কন্যা রয়েছে। বিয়ের কয়েক বছরের মাথায় স্বামী শামশুল আলম মোবাইল ফোনের সর্ম্পকে চট্টগ্রামের একটি মেয়ের সাথে পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। স্বামীর পরকিয়ায় স্ত্রী বাধা প্রদান করলে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে স্বামী। শুরু হয় স্ত্রীর উপর নির্যাতনের স্ট্রীম রোলার। স্ত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃন্দাবনখীল গ্রামের পাড়ার সর্দার আমির হোসেনসহ স্থানীয়রা স্বামী পরিবারকে সামাজিক ভাবে কয়েকবার শালিসী বৈঠকেও বসান। সর্বশেষ গত ১১ আগস্ট সকাল ১১টার দিকে পাষন্ড স্বামী শামসুল আলম ও শাশুড়ী জগুনা বেগম নির্যাতিত অসহায় স্ত্রী হামিদা বেগমকে বেধম মারধর করে খালি ষ্টাম্পে স্বাক্ষার করতে বলে। হামিদা বেগম খালি স্ট্যামে স্বাক্ষর না করায় স্বামী ও শাশুড়ীসহ পরিবারের সদস্যরা ধারালো অস্ত্র উপর্যপুরি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এক পর্যায়ে মারা গেছে মনে করে বাড়ির পাশ^বর্তী জঙ্গলের ভেতরে ফেলে দেয়। এসময় স্থানীয় প্রতিবেশীরা গৃহবধু হামিদা বেগমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতাল ভর্তি করা। বর্তমানে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন গৃহবধু হামিদা বেগমের পিতার পরিবারের লোকজন। শাশুড়ী বাড়ি পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসার নূন্যতম খোজ খবর নেওয়ার জন্যও আসেনি বলে জানান। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম মিরান। তিনি জানিয়েছেন, আহত রোগিকে হাসপাতালে নিয়ে আগে চিকিৎসা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

পাঠকের মতামত: